স্টাফ রিপোর্টার : অনেক আলোচনা ও সমালোচনা এবং দীর্ঘ অপেক্ষার পর এবার হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হলেন নারায়ণগঞ্জের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।

নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত সাত খুনের ঘটনায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে সচিবালয়ে ছয় নম্বর ভবনের ১৪০৫ নম্বর কক্ষে শামীম ওসমান প্রবেশ করেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও তদন্ত কমিটির প্রধান শাহজাহান আলী মোল্লার নেতৃত্বে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়।

আগামী ৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আদালতে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের কথা রয়েছে এই তদন্ত কমিটির। ইতিমধ্যে কমিটি হাইকোর্টে কয়েক দফা অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করে বলেছে, ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত সেটা তারা জানতে পেরেছেন। কি কারণে তারা ওই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, এখন তা জানতে তদন্ত চলছে।

সাত খুনের ঘটনায় সোমবার নারায়ণঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি। এর আগে র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান, চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া তিন কর্মকর্তা, নূর হোসেনের সহযোগীসহ ৩৫৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কমিটি।

গত ২৭ এপ্রিল দুপুরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। এর তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যায় একে একে ভেসে ওঠে সাতজনের মরদেহ। এই সাতজন হলেন এক গাড়িতে থাকা কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, তার সঙ্গী তাজুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান স্বপন, লিটন ও তার গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং আরেকটি গাড়িতে থাকা আইনজীবী চন্দন সরকার ও তার চালক ইব্রাহিম। এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে মামলা করেছে নজরুলের পরিবার।

ঘটনার পর নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে চির প্রতিদ্বন্দ্বী শামীম ওসমান ও সেলিনা হায়াৎ আইভীর মধ্যে বাকযুদ্ধ শুরু হয়। আইভী এই খুনের জন্য সরাসরি শামীম ওসমানকে দায়ী করেন। শামীম ওসমান তা অস্বীকার করে উল্টো আইভীর দিকে অভিযোগের তীর ছোড়েন।

(ওএস/এইচআর/আগস্ট ১২, ২০১৪)