ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে দা ছুরি বটি চাপাতি তৈরিতে ঈশ্বরগঞ্জের কামারদের বেড়েছে ব্যস্ততা। হাতুরির শব্দ আর হাপরের বাতাসে সকাল থেকে রাত দশটা পর্যন্ত অবিরাম কাজের শব্দে মুখরিত এখন ঈশ্বরগঞ্জের কামারপাড়া। 

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন হাট বাজার ও গ্রামীণ জনগদে প্রায় ৪০টি কামার ব্যবসায়ী রয়েছেন যারা সারা বছরই এ কাজে নিয়োজিত থাকেন। আগের মতো সারা বছর লোহার এসব জিনিষ বিক্রি না হলেও ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে জমে উঠে বিক্রি। তবে পরিশ্রমের তুলনায় লাভের পরিমাণ খুবই কম বলে জানান কামাররা।

ত্রিশ বছর ধরে এ পেশায় নিয়োজিত অমর কর্মকার জানান, সারা বছর দা বটি ছুরি ছাড়াও অন্যান্য তৈরি জিনিষপত্র বিক্রির অর্থে কর্মচারীদের বেতন ও সংসার কোনো রকমে চলে যায়। সারা বছরের মাঝে বেশি অর্থ উর্পাজন হয়ে থাকে কোরবানির ঈদে। আমাদের কামার সম্প্রদায়ের লোকজন এই ঈদের জন্য অধীর অপেক্ষায় থাকেন। ঈদের একমাস আগে থেকেই গ্রাম ও শহরের লোকজন নতুন দা বটি ছুরি চাকু তৈরির অর্ডার দিয়ে থাকেন। এবারও জুলাই মাসের শুরু থেকে কাজের চাপ বেড়েছে। প্রতিদিন তিন থেকে চার হাজার টাকার এসব পণ্য বিক্রি হয়ে থাকে।

অধীর কর্মকার জানান, ঈদ উপলক্ষ্যে প্রতিটি কামার এক থেকে দেড় লাখ টাকার তৈরি জিনিষপত্র বিক্রি করতে পারে। তিনি আরো জানান এক কেজি ওজনের একটি দা ৪’শ টাকা, চুরি ৫’শ টাকা, চাপাতি বড় ৬’শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এবছর লোহার দাম বৃদ্ধি না পাওয়ায় তৈরিকৃত পণ্যের দামও বৃদ্ধি পায়নি ফলে সুলভ মূল্যে ক্রেতারা তাদের পছন্দ মতো প্রয়োজনীয় জিনিষ কিনতে পারছে।

(এন/এসপি/জুলাই ১৯, ২০২০)