আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : বরিশালের গৌরনদী উপজেলার কালনা গ্রামের মৃত আব্দুল কাদের ফকিরের পুত্র মুক্তিযোদ্ধা মো. মুনসুর আলী ফকির (৬৫)। মুক্তিযোদ্ধা হয়েও তালিকাভুক্ত হতে পারেননি তিনি। মুনসুর আলী বলেন, গৌরনদীতে বহু ভুয়া লোক মুক্তিযোদ্ধা হয়েছে। বহু রাজাকার, লুটেরা, এখন মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধের সময় যাদের জন্ম হয়নি তারাও মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম লিখিয়ে সরকারি ভাতাসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে। কমান্ডারকে টাকা দেয়নি বলেই তালিকায় আমার নাম ওঠেনি। নয় বছর আগে পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আলী ফকির। আজ তার বড়ই দুর্দিন।

তিনি জানান, স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরুর পর পিঙ্গলাকাঠী গ্রামের বাদশা কমান্ডারের কাছে প্রাথমিক ট্রেনিং গ্রহণ করেন। পরে কুতুবপুর গ্রামের হারুন অর-রশিদ খানের নের্তৃত্বে তিনি ও নলচিড়া ইউনিয়নের বর্তমান মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ইউনুস খোন্দকার,কালনা গ্রামের চিনু কাজী, পিংগলাকাঠী গ্রামের রব সরদার,চর রমজানপুর গ্রামের হারুন কবিরাজ সহ তারা ৫২ জনের একটি দল ভারতে ট্রেনিং নেন। সেখান থেকে দেশে ফিরে এসে বিভিন্ন যুদ্ধে অংশ নেন তারা। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মুনসুর আলী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চাকুরী নেন। চাকুরীর সুবাদে এলাকায় না থাকার কারণে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় সহযোদ্ধাদের সবার নাম তালিকাভুক্ত হলেও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারকে টাকা না দেয়ায় তার নাম তালিকাভুক্ত হয়নি বলে তিনি অভিযোগ করেন। বর্তমানে নিজের নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে ধর্না দিচ্ছেন।
(টিবিিএএস/এপ্রিল ১৯, ২০১৪)