লাইফস্টাইল ডেস্ক : করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়েছে বিশ্বব্যাপী। এখনও পর্যন্ত কমার লক্ষণ নেই। কবে নাগাদ এই তাণ্ডবলীলা শেষ হবে সেকথাও কেউ জানে না। সংক্রমণ থেকে বাঁচতে বাইরে বের হওয়ার সময় সুরক্ষিত উপায়ে বের হওয়ার চেষ্টা করেন প্রায় সবাই। তবে অনেক আক্রান্তের ক্ষেত্রে তেমন কোনো লক্ষণ দেখা দেয় না। যার কারণে তারা অজান্তেই অন্যদের মধ্যে ভাইরাস ছড়িয়ে থাকেন।

বাইরে হয়তো আপনি দু’দিন আগেও কারও সঙ্গে দেখা করেছেন অথবা পাশাপাশি দাঁড়িয়ে কেনাকাটা করেছেন, দু’দিন পরে জানতে পারলেন তিনি করোনায় আক্রান্ত। তখন আপনি কী করবেন? এরকম ক্ষেত্রে আতঙ্কিত ও উদ্বেগ হওয়া স্বাভাবিক। যদিও আপনি তখনও জানেন না যে, সেই ব্যক্তির মাধ্যমে আপনি সংক্রমিত হয়েছেন কি-না, তবে অন্যদের সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে সতর্ক হতে হবে আপনাকেই। আশেপাশের কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে আপনার করণীয় সম্পর্কে জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া-

চৌদ্দ দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইন

আপনার প্রথম পদক্ষেপটি হলো চৌদ্দ দিনের জন্য বাড়িতে কোয়ারান্টিনে থাকা। করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিতে দশ থেকে চৌদ্দ দিন সময় নিতে পারে। তাই এই সময়ের জন্য নিজেকে ঘরে আলাদা করুন। কোনো কারণে বাসা থেকে বের হবেন না বা পরিবারের অন্যান্য সদস্যের সংস্পর্শে আসবেন না। আপনি যদি একা থাকেন তবে আপনার বন্ধু কিংবা পরিবারকে আপনার দরজায় প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো রেখে যেতে বলুন। বাড়িতে কাউকে আসতে দেবেন না।

আপনার লক্ষণগুলো নিরীক্ষণ করুন

করোনাভাইরাস সম্পর্কিত কোনো প্রাথমিক লক্ষণ যেমন জ্বর, শ্বাসকষ্ট, কাশি, স্বাদ বা গন্ধ নষ্ট হওয়া, গলা ব্যথা, কফ বা সর্দি, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া এবং পেশী ব্যথার মতো লক্ষণ দেখা দেয় কি-না তা খেয়াল করুন। যদি আপনি অসুস্থ বোধ করেন তবে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন। পরীক্ষা করার পর ফলাফল না পাওয়া পর্যন্ত সবার থেকে আলাদা থাকুন।

পরীক্ষা করান

আপনার করোনাভাইরাস রয়েছে কি-না তা নিশ্চিত করার জন্য পরীক্ষা করান। সেজন্য চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন কারণ বেশিরভাগ সময়ই চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া পরীক্ষার সুযোগ পাওয়া যায় না। পরীক্ষা করার আগে কমপক্ষে পাঁচ থেকে সাত দিন অপেক্ষা করুন। ফলাফল না পাওয়া পর্যন্ত পৃথক অবস্থায় থাকা চালিয়ে যান। যদি করোনা পজেটিভ আসে তবে কোয়ারেন্টাইনে থেকেই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। যদি নেগেটিভ আসে বা কোনো লক্ষণ প্রকাশ না পায় তবে চৌদ্দ দিন পর কোয়ারেন্টাইন শেষ করুন।

অন্যকে অবহিত করুন

আপনার মধ্যে যদি করোনার কোনো লক্ষণ প্রকাশ না পায় বা পরীক্ষা নাও করে থাকেন, তবে অন্যকে জানিয়ে দেওয়া জরুরি যে আপনি কোনো সংক্রামিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন। আপনি যদি সংক্রামিত হন তবে আপনার মাধ্যমে অন্যরাও সংক্রমিত হতে পারে। যদি আপনার মধ্যে আক্রান্তের কোনো লক্ষণ প্রকাশ না পায় তবে অন্যদের পরীক্ষা করার প্রয়োজন নেই।

(ওএস/এসপি/জুলাই ২০, ২০২০)