দীপক চন্দ্র পাল, ধামরাই (ঢাকা) : ধামরাইয়ে মসজিদের উন্নয়নের হিসাব চাওয়ায় এক মুক্তিযোদ্ধা ও তার ছেলেকে মারধরের ঘটনায় সোমবার তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এঘটনায় রবিবার রাতে ধামরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দায়ের পর তাৎক্ষণিক ভাবে সোমবার সকালে তিন আসামীদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী ওই মুক্তিযোদ্ধার নাম আবুল হোসেন। তিনি উপজেলার চৌহাট ইউনিয়নের সুন্ধিতারা গ্রামের বাসিন্দা। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- একই এলাকার ইউনুছ আলীর ছেলে রাজিব (২৬), সোনা মিয়ার ছেলে আনোয়ার (২৩) ও দুলু মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ হোসেন আলী (২৫)।

রবিবার বিকেলে ঢাকার ধামরাইয়ে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন পরিবারের উপর দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষ হাসান আলী বাহিনী।এতে মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন সহ আহত হয়েছে ৮জন।

এ ঘটনায় শিক্ষকের পিতা মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন বাদী হয়ে রবিবার ধামরাই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ দায়েরের পর ধামরাই থানার পুলিশ ৩ জনকে আটক করেছে।

জানা গেছে, উপজেলা চৌহাট ইউনিয়নের সন্ধিতারা গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক লিটন মিয়া ও তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ব্যবসায়ী আবুল হোসেনসহ অন্যান্যদের নিয়ে মসজিদের সামনে এশার নামাজের পর মসজিদের উন্নয়ন বিষয়াদী নিয়ে বৈঠকে বসেন।

এ সময় প্রতিপক্ষ হাসান আলীর নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বৈঠকের মধ্যেই হামলা চালিয়ে শিক্ষক লিটন মিয়া(৩৪),তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন(৬০) ও ছোট ভাই রাশেদুল ইসলাম( ২৬)সহ ৩ জনকেই এলোপাথারী ভাবে মারপিটসহ মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় হামলাকারী প্রতিপক্ষ হাসান বাহিনীর লোকজনসহ অন্যান্যরাও আহত হয়।

তবে শিক্ষকসহ ৩ জনই সাটুরিয়া উপজেলা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।তাদের অবস্থা গুরুতর। ঘটনার পরেও শিক্ষক লিটন মিয়ার বাড়ির কাজের লোকের উপরও হাসান বাহিনী চড়াও হয় এবং তাকেও রক্তাক্ত জখম করে।

এ ব্যাপারে ১০ জনকে আসামী করে থানায় মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন বাদী হয়ে রবিবার এক অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ দিপক চন্দ্র সাহা ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন একজন মুক্তিযোদ্ধার উপর হামলা অনৈতি।রবিবার রাতে মামলা দায়েরের পর তাৎক্ষণিক ভাবে সোমবার সকালে তিন আসামীদের গ্রেফতার করা হয়েছে।তিনি বলেন আরো যারা জড়িত তাদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে।

(ডিসিপি/এসপি/জুলাই ২০, ২০২০)