নাটোর প্রতিনিধি : নাটোর লালপুরের ৩৪নং ওয়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা লঙ্ঘন করে বাড়ী নির্মানের অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের পিছনে (পূর্বে) বসবাসকারী মৃত: ইমান কারিগরের ছোট ছেলে আব্দুল হালিমের বিরুদ্ধে। তিনি তার দ্বিতল বাড়ী নির্মানের ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের সীমানা লঙ্ঘন করে প্রায় ৩/৪ ফুট ভিতরে প্রবেশ করেছে। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর করা হয়েছে নিয়মানুযায়ী জমির সীমানা’র ১ফুট ভিতর দিয়ে, তেমনি আব্দুল হালিম নিয়ম মেনে বাড়ী করলে দুই ছাদের মধ্যে ব্যবধান হতো প্রায় ৫ফুট কিন্তু বর্তমানে তা হয়ে আছে মাত্র ৫ ইঞ্চি। বর্তমান অবস্থায় যদি ছাদ নির্মাণ হয় তবে ছাদের নিষ্কাশনকৃত পানি সরাসরি বিদ্যালয়ের দেয়ালে পড়বে এবং তা জানালা দিয়ে শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করবে। যা এই স্বনামধন্য শতবর্ষী বিদ্যালয় তথা সরকারি সম্পদের জন্য ব্যাপক ক্ষতির কারণ হবে।

বর্তমানে মহামারি করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর কারণে দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকার সুযোগে লোক চক্ষুর অন্তরালে আব্দুল হালিম নিজ স্বার্থে এবং অবৈধভাবে বিদ্যালয়ের সীমানা লঙ্ঘন করে বাড়ীর ছাদ করার সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বলে জানান এলাকাবাসী। বিদ্যালয়ের সীমানা লঙ্ঘন করে বাড়ীর কাজ কেন করা হচ্ছে? মুঠোফোনে জানতে চাইলে আব্দুল হালিম বলেন- এ বিষয়ে কোন কথা বলার মত সময় নেই, ব্যস্ত আছি বলে ফোন কেটে দেন তিনি। এছাড়াও এলাকাবাসী তাকে অভিযোগ করার পরেও আইন কানুন কে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে এখন পর্যন্ত নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনুপ কুমার সরকার জানান, বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় আমি বেশ কিছুদিন বিদ্যালয়ে না আসায় বিষয়টি আমার জানা ছিলনা, আমি জানার পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ আমার উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের বরাবর লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।

বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাদিকুর রহমান সাকিব এবং অন্যতম সদস্য জয়নাল আবেদীন বলেন, নিজ স্বার্থে এি এলাকার শর্তবর্ষী স্বনামধন্য বিদ্যালয়ের ক্ষতির উদ্দেশ্যে লোক চক্ষুর অন্তরালে সরকারি জমির সীমানা লঙ্ঘন করে বাড়ী নির্মাণ অবশ্যই অপরাধের শামিল।

এ বিষয়ে লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বানীন দ্যুতি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, সরকারি জায়গা দখল করার কোন সুযোগ নেই, দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(এডিকে/এসপি/জুলাই ২১, ২০২০)