স্পোর্টস ডেস্ক : মারকুটে ব্যাটসম্যান ও কার্যকরী লেগস্পিনার- সংক্ষেপে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদির পরিচয় এটাই। কিন্তু খেলা যখন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে, তখন ব্যাটিং-বোলিং দুটোই বাদ রেখে আফ্রিদি একজন ‘দুধভাত’ খেলোয়াড়- এমনটাই মনে করেন দেশটির সাবেক অধিনায়ক আমির সোহেল।

পাকিস্তানের হয়ে ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত ৬ টেস্ট ও ২২ ওয়ানডেতে অধিনায়কত্ব করেছেন আমির সোহেল। ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপের আগে দিয়ে হুট করেই নিয়ে যাওয়া হয় তার অধিনায়কত্ব। পরে ওয়াসিম আকরামের অধীনে সেই বিশ্বকাপ খেলে পাকিস্তান এবং পায় রানার্সআপ হওয়ার গৌরব।

তবে সেই বিশ্বকাপে শহিদ আফ্রিদিকে ওপেনার হিসেবে খেলানোর সিদ্ধান্ত ছিল চরম ভুল- এমনটাই মনে করেন আমির সোহেল। তার কাছে সুযোগ থাকলে আফ্রিদির বদলে নিতে মোহাম্মদ ইউসুফকে। এমনকি বিশ্বকাপের ফাইনাল খেললেও, পাকিস্তান দলটি মূলত পাড়ার দলের মতো ছিলো বলে মন্তব্য আমির সোহেলের।

নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এক ভিডিওবার্তায় তিনি বলেছেন, ‘১৯৯৮ সালে আমি যখন অধিনায়ক ছিলাম, তখন নির্বাচকদের নিয়ে আমরা ঠিক করেছিলাম যে, বিশ্বকাপের জন্য আমরা একজন নিয়মিত ওপেনার বাছাই করব। যে কি না উইকেটে টিকে থাকতে পারবে এবং নতুন বলের বিপক্ষে রানও করতে পারবে।’

‘কিন্তু আমরা দুর্ভাগ্যবশত শহিদ আফ্রিদিকে বাছাই করি। লো বাউন্সিং উইকেটে সে হয়তো মেরে খেলতে পারে। কিন্তু যখন কন্ডিশন বিরুদ্ধে থাকে, তখন সে না পারে ব্যাটিং, না পারে বোলিং। ওয়াসিম আকরামের বদলে আমি যদি অধিনায়ক থাকতাম, তাহলে ওপেনার হিসেবে তখন মোহাম্মদ ইউসুফকে নিতাম।’

আমির সোহেলের এমন মন্তব্য একদমই ফেলনা নয়। যার প্রমাণ মেলে আফ্রিদির সেই বিশ্বকাপের পারফরম্যান্সের। বিশ্বকাপে সাত ইনিংসে ব্যাট করে আউট হয়েছেন প্রতিবার, ১৩.২৮ গড়ে করতে পেরেছেন সাকুল্যে ৯৩ রান। যা কি না প্রতি ম্যাচেই পাকিস্তানকে ফেলে দিয়েছে কঠিন চাপে।

(ওএস/এসপি/জুলাই ২৩, ২০২০)