রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের রাজারহাটে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর পিতা-মাতাকে আহত করে ওই ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে দূর্বত্তরা। এ সময় স্বর্ণালঙ্কার ও এক লাখ ৬০  হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে, রবিবার (২৬জুলাই) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের মহিধর খন্ডক্ষেত্র গ্রামে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, ওই গ্রামের রেজা শাহের (৪৮) বাড়িতে রবিবার(২৬জুলাই) গভীর রাতে ৪জন দূর্বৃত্তদের একটি দল ওই গ্রামের ঢুকে প্রথমে তার মাথায় আঘাত করে। পরে তার স্ত্রী পারভীন বেগমকে (৩৮) মারপিট করে তার স্বর্ণের চেইন ও গলারহারসহ স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। এরপর তাদের নবম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে তুলে নিয়ে গিয়ে পার্শ¦বর্তি এলজিইডি খামারের পাশে ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটিকেও মারধর করে গুরুতর আহত কর। আহত অবস্থায় মেয়েটি পার্শ্ববর্তি এক বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পরে প্রতিবেশীরা তাকেসহ তার বাবা ও মাকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

রেজা শাহ জানান, তার ও তার স্ত্রীর মোবাইলে প্রায় সময় মেয়েকে উদ্দেশ্য করে আপত্তিকর মেসেজ আসতো। এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় দূর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটাতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি। এ ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

খবর পেয়ে ২৭ জুলাই সোমবার কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন মঞ্জু, রাজারহাট উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ সোহরাওয়ার্দী বাপ্পিসহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

রাজারহাট থানার ওসি রাজু আহমেদ জানান, এ বিষয়ে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ ওই দূর্বৃত্তদের ধরতে ও লুট হওয়া স্বর্ণালংকার উদ্ধার করার জোর তৎপরতা চালাচ্ছে।

(পিএস/এসপি/জুলাই ২৭, ২০২০)