রূপক মুখার্জি, নড়াইল : মধুমতি নদীতে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লোহাগড়া উপজেলার কালনা ফেরিঘাটের উভয় পাড়ের পন্টুনের গ্যাংওয়ে ডুবে যাওয়ায় যানবাহন ও যাত্রী পরিবহনে চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। ঈদের ছুটিতে বাড়িমুখি যাত্রীদের ফেরি পারাপারে সমস্যার সৃষ্টি  হচ্ছে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ জুলাই ওই ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে তলিয়ে যায়। তারপর থেকে ঘাট কর্তৃপক্ষ জোড়াতালি দিয়ে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে। মধুমতি নদীতে পানি বৃদ্ধি ও বৃষ্টির কারনে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারন করেছে।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চলাচলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কালনা ফেরিঘাট। এ ঘাট দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ খুলনা, নড়াইল, যশোর, নওয়াপাড়া, বেনাপোল বন্দরসহ ১০ জেলায় চলাচল করে। এ ঘাট দিয়ে কয়েকশ’ যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক, পিকআপ ভ্যান, মাইক্রোবাস, নছিমনসহ অন্যান্য যানবাহন পারাপার হয়।

বাংলাদেশ হাউজবিল্ডিং ফিন্যান্স কর্পোরেশনের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার লোহাগড়া পৌর এলাকার মশাঘুনি গ্রামের মাহফুজুর রহমান মাসুদ বলেন, মধুমতি নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে নদীর দু’পাড়ের গ্যাংওয়ে পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে যানবাহন পারাপার ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। আমাদের এ দুর্ভোগ থেকে রক্ষা করতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

ট্রাক চালক ঝুনু মজুমদার বলেন, এ ঘাটে ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক পার করতে হচ্ছে। গ্যাংওয়ে ক্রস করার সময় গাড়ির ইঞ্জিনে পানি ঢুকে ক্ষতি হচ্ছে।

ঘাট ইজারাদার মঞ্জুর হাসান বলেন, নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ফেরিঘাটের পন্টুনের দু’পাড়ের গ্যাংওয়ে তলিয়ে গেছে। নদীতে ভাটার সময় কিছুটা দুর্ভোগ কমলেও জোয়ারের সময় দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করছে। ফলে ফেরি পারাপারে দীর্ঘ সময় লাগছে। এ কারণে ঘাট পারাপারে যাত্রীদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। তাদের চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছে।

ফেরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, গ্যাংওয়ে তলিয়ে ফেরিতে গাড়ি ওঠা-নামায় মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। এছড়া নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে ফেরি পারাপারে বেশি সময় লাগছে।

গোপালগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী সাকিরুল ইসলাম বলেন, মধুমতি নদীতে জোয়ারের সময় কালনা ঘাটের গ্যাংওয়ে তলিয়ে পারাপারে সমস্যা হচ্ছে। এতে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। আমরা ফেরিঘাট পরিদর্শন করে সমস্যা চিহ্নিত করেছি। সমস্যা সমাধানে কাজ শুরু হয়েছে।

(আরএম/এসপি/জুলাই ২৯, ২০২০)