ইন্দ্রজিৎ কুমার সাহা, কালিয়াকৈর (গাজীপুর) : গাজীপুরের কালিয়াকৈরে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার পর পালিয়েছে দুর্বৃত্ত স্বামী । বুধবার সকালে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মৌচাক এলাকায়।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় যে নিহত ঝর্ণা বেগম ফুলি (২৮) টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর থানার চানপুর এলাকার জাহাঙ্গীর মিয়ার স্ত্রী । তিনি কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক এলাকার কোকাকোলা ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেড কারখানায় কাজ করতেন।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, টাঙ্গাইলের গোপালপুর থানার চানপুর এলাকার মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে জাহাঙ্গীর মিয়ার সঙ্গে ঝর্ণার বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামী জাহাঙ্গীর স্ত্রী ঝর্ণা বেগমকে নিয়ে জীবিকার খোঁজে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে আসেন। পরে তারা উপজেলার মৌচাক মোল্লাবাড়ী এলাকার হাজী সাইদুর রহমানের বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। সেখানে ভাড়া থেকে ঝর্ণা বেগম স্থানীয় কোকাকোলা ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেড নামে একটি কারখানায় কাজ শুরু করেন। কিন্তু তার স্বামী জাহাঙ্গীর মিয়া বেকার দিন যাপন করেন। এ নিয়ে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মাঝে মাঝে ঝগড়া হতো। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার রাতেও তাদের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়, পরে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই ঘুমিয়ে পড়েন। ওই রাতের কোনো এক সময় ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রী ঝর্ণাকে চাকু দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে পরে ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে সে পালিয়ে যান।

সকালে তাদের কেউ ঘুম থেকে না উঠায় পাশের বাড়ির লোকজন ঘর বন্ধ দেখে ডাকতে যান। সেখানে গিয়ে তারা দেখেন ঘরের ভেতরে গলা কাটা অবস্থায় ঝর্ণার লাশ পড়ে রয়েছে। কিন্তু স্বামী জাহাঙ্গীরকে পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে বুধবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

কালিয়াকৈর থানার ওসি মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে তার স্বামী চাকু দিয়ে জবাই করে হত্যার পর স্বামী জাহাঙ্গীর পালিয়ে গেছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে ঘাতক স্বামীকে গ্রেপ্তারের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে, আশা করছি খুব দ্রুতই তাকে গ্রেফতারেে সক্ষম হব।

(আইএস/এসপি/জুলাই ২৯, ২০২০)