টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের নওগাঁ এলাকায় এলানজানি নদীর বাঁধ ভেঙে টাঙ্গাইল সদর, কালিহাতী ও বাসাইল উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের অন্তত ২০টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। এতে নতুন করে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) দিনগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে বাঁধটি ভেঙে যায়।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বার বার অবহিত করলেও তারা সময় মত প্রয়োজনীয় কোন প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। টাঙ্গাইলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলামের দাবি আপদকালীন হিসেবে গত ৪-৫দিন ধরে বাঁধ মেরামত করা হচ্ছিল। শুকনো মৌসুমে স্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য সৈয়দ কবিরুজ্জামান ডল জানান, বন্যার শুরু থেকে বাঁধটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে একাধিকবার জানালেও তারা সময় মত কোন প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। গত কয়েকদিন যাবত পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ড সামান্য কিছু বস্তা ফেললেও তা পানির স্রোতে ভেসে যায়। পরে মঙ্গলবার দিনগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে বাঁধটি ভেঙে সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়ন সহ পাশের কালিহাতী উপজেলার পাইকড়া ও বল্লা ইউনিয়ন এবং বাসাইল উপজেলার ফুলকী ও কাশিল ইউনিয়নের অন্তত ২০টি গ্রামে নতুন করে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে লক্ষাধিক মানুষ নতুন করে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

ঘারিন্দা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. আব্দুল বারেক জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফলতিতে বাঁধের প্রায় ২০০ ফুট ভেঙে গেছে। ধীরে ধীরে বাঙার পরিধি বাড়ছে। ইতোমধ্যে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী সহ সংশ্লিষ্টরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান আনছারী জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড সময় মত কাজ করলে বাঁধটি রক্ষা করা যেত। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বন্যার্তদের মাঝে শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। ভেঙে যাওয়া বাঁধ দ্রুত সময়ের মধ্যে মেরামতের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, বাঁধটি আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। ওই বাঁধে গত ৪-৫পাঁচদিন যাবত আপদকালীন(জরুরি) কাজ চলছিল। মঙ্গলবার দিনগত রাত ১১ টা পর্যন্ত কাজ করা হয়েছে। পরে রাত ৩টা/ সাড়ে ৩টার দিকে বাঁধটি ভেঙে যায়। পানি শুকিয়ে গেলে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

(আরকেপি/এসপি/জুলাই ২৯, ২০২০)