সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) : কেন্দুয়া উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজে অনেক গতি ফিরে এসেছে। সরেজমিন গিয়ে মাঠপর্যায়ে কাজের গুণগতমান যাচাই করার ফলে দিন দিনই কাজের স্বচ্ছতাও ফিরে আসছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে দ্বিতীয় পর্যায়ের টিআর কাবিখা প্রকল্পের কাজ মাঠ পর্যায়ে শেষ হয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সূত্রে জানা যায়, গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষনাবেক্ষন প্রকল্পে উপজেলা পরিষদের ৩৫টি প্রকল্পে ২৩ লাখ ৯৮ হাজার ৫৩২ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এছাড়া উপজেলা পরিষদের ১৪টি কাবিখা প্রকল্পে ৯২.৪৫১৩ মে.টন বরাদ্দ দেয়া হয়।

অপর দিকে সংসদ সদস্যের নির্বাচনী এলাকার কেন্দুয়া উপজেলায় টিআর ১৬টি প্রকল্পে ৩০ লাখ ৫৭ হাজার ৬৬৬ টাকা ১০টি কাবিখা প্রকল্পে দেয়া হয় ১০০.৫৫৫ মে.টন বরাদ্দ। বরাদ্দকৃত প্রকল্পের কাজ সুষ্ঠু ভাবে সম্পাদনের পরামর্শ দেন নেত্রকোনা-৩ আসনের এম.পি অসীম কুমার উকিল।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মেহেদী হাসান জানান, এম.পি অসীম কুমার উকিল পরামর্শ দিয়েছেন কাজ না করে যাতে কেউ কোন বিল না নিতে পারে সে দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। কাজের গুণগত মান মাঠপর্যায়ে যাচাই করে দেখার পর কাজের মান সস্তোষজনক হলেই প্রকল্প সভাপতি বিল পাওয়ার যোগ্যতা রাখেন।

তিনি বলেন, তার এ পরামর্শ মাথায় রেখে আমরা কাজ করছি। মাঠ পর্যায়ে কাজ নিবিরভাবে দেখার ফলে আমাদের কাজের মানের গতিও অনেক বেড়েছে। তাছাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মইন উদ্দিন খন্দকার মোটর সাইকেলে গিয়েও প্রকল্পের কাজ দেখাশুনা করছেন। নিজের চোখে কাজ দেখার পরই প্রকল্পের অর্থ ছাড় করছেন।

প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বলেন, মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে যার জায়গা আছে ঘর নেই, সেইসব ৩৬ জন ব্যক্তিকে ৩৬টি আধাপাকা ঘর তৈরি করে দেয়া হবে। প্রতিটি ঘরের জন্য প্রায় ৩ লাখ টাকা করে বরাদ্দ রয়েছে। বসতঘরের সঙ্গে একটি রান্নাঘর ও শৌচাগারেরও সু ব্যবস্থা আছে। ইতিমধ্যে করোনা দূর্যোগের মধ্যেও ২০টি ঘরের নির্মানকাজ শেষ হয়েছে। ১১টির চূড়ান্ত বিলও দেয়া হয়েছে এবং ঘরের চাবিও সুবিধাভোগীদের ইতিমধ্যে বুঝিয়ে দেয়া হয়। দূর্যোগ সহনীয় এসব ঘর পেয়ে তাদের মুখে ফুটেছে প্রাণের হাসি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাইন উদ্দিন খন্দকার ইতিমধ্যে দলপা, আশুজিয়া সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের উন্নয়ন প্রকল্প এবং দূর্যোগ সহনীয় ঘরের নির্মান কাজ দেখেছেন।

তিনি বলেন, আশুজিয়া ও দলপা ইউনিয়নে যে কয়টি ঘরের কাজ দেখেছি, এসব কাজ দেখে খুবই ভাল লেগেছে। এসব ঘর পেয়ে অসহায় গরিব মানুষগুলো দীর্ঘদিন নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে পারবে। তারা চিরদিন মনে রাখবে মুজিব বর্ষের উপহারের কথা।

(এসবি/এসপি/জুলাই ২৯, ২০২০)