উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : মুক্তিযোদ্ধা ইমামুজ্জামানের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনীর এক প্লাটুন যোদ্ধা চৌদ্দগ্রামের চার মাইল দক্ষিণে নানকরা নামক স্থানে পাকবাহিনীর ২৯তম বেলুচ রেজিমেন্টের ‘সি’ কোম্পানীর একটি জীপকে এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে পাকবাহিনীর ৬ জন সৈন্য নিহত ও ড্রাইভার আহত অবস্থায় মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে বন্দী হয়। মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনাদের অনেক অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ দখল করে নিরাপদে ঘাঁটিতে ফিরে আসে।

ঢাকার এক নম্বর সামরিক আদালত বিশিষ্ট চলচিচত্র শিল্পী (চিত্রনায়িকা) কবরী চৌধুরী ও কণ্ঠশিল্পী আব্দুল জব্বারকে ১৩ আগষ্টের মধ্যে এবং ছাত্রনেতা ও মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা মহসীন মন্টু, কামরুল আনাম খান খসরু ও আব্দুল গণি মনুকে ১৬ আগষ্টের মধ্যে আদালতে হাজির হবার নির্দেশ দেয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উপস্থিত না হলে তাঁদের অনুপস্থিতিতেই বিচার অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা করা হয়।

সামরিক আদালতে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ১৩ জন তরুণকে আদালতে হাজির হবার নির্দেশ দেয়। এরা হচ্ছেন মোহাম্মদ ইদ্রিস(চাঁদপুর), আব্দুল ওহাব(দাউদকান্দি), আব্দুর রহমান (বেগমগঞ্জ), ভুলু সেনবাগ), মুজিবুর রহমান (দেবীদ্বার), কালুগাজী, শফি, কাফী, সাদী, মান্নান, বারেক, খালেক ও শরাফত (সবাই ঢাকার রায়পুরার বাসিন্দা)। আদেশে নির্দিষ্ট সময়ে হাজির না হলে তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচার করা হবে বলে উল্লেখ্য করা হয়।

সিলেট রেজিস্টার ময়দানে ডঃ আবদুল মজিদের সভাপতিত্বে স্বাধীনতা বিরোধীদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন মওলানা আব্দুল লতিফ ফুলতলী, সাবেক মন্ত্রী আজমল আলী চৌধুরী। সভাশেষে রাজাকাররা কুচকাওয়াজ করে।

তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।
(ওএস/অ/জুলাই ৩০, ২০২০)