চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : মহামারী করোনার ছোবলে পাবনার চাটমোহরসহ চলনবিল অধ্যুষিত উপজেলায় চামড়ার বাজারেও নেমেছে ধ্বস। চামড়ার ক্রেতা নেই। 

৮/১০টি ছাগলের চামড়া বিক্রি করে ১ কেজি কাঁচা মরিচের দামও মিলছেনা। আবার একটি গরুর চামড়া বিক্রি করে পাওয়া যাচ্ছে এক কেজি মরিচের দাম। আড়তদারের কোন লোকজনকে সমাজভিত্তিক চামড়া কিনতে দেখা যায়নি। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বা ফড়িয়ারা চামড়া কিনেছে। শনিবার ঈদের দিন এই চিত্র দেখা গেছে। একই অবস্থা ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর, তাড়াশ ও বড়াইগ্রাম উপজেলায়ও।

ঈদের দিন দুপুরের পর হতেই মৌসুমি চামড়ার ফড়িয়ারা গ্রামের বিভিন্ন সমাজে ও বাড়ি বাড়ি ঘুরে চামড়া ক্রয় করে। বিকেল হতেই ফড়িয়াদের নিয়ে আসা চামড়া পাইকারী ব্যবসায়ীরা কিনতে শুরু করেন। একটি গরুর চামড়া ২শ’ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। ১০-১২ মন ওজনের গরুর চামড়া সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা দামে বিক্রি হয়েছে। আর ছাগলের চামড়া ১৫টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। ছাগলের চামড়ার নির্ধারিত দাম দেয়নি পাইকাররা। সমাজভিত্তিক চামড়ার গড় মূল্য ছিল গরু ৪শ’ টাকা ও ছাগল ৪০ টাকা। উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের সমাজ প্রধান হাবিবুর রহমান জানালেন,গরু ও ছাগলের চামড়ার দামে এমন অবস্থা আগে কখনও হয়নি।

চাটমোহর পৌর শহরের ছোট শালিখা সিরাজুল ইসলাম জানালেন, তার কোরবানির গরুর ৫ মণ ১৭ কেজি মাংস হয়েছে। এই গরুর চামড়া বিক্রি করে ৪০০ টাকা পেয়েছি। আর একটি ছাগলের চামড়া সর্বোচ্চ ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। চাটমোহরের বাজারে ১ কেজি কাঁচা মরিচ ২৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

ফড়িয়া শাহজাহান আলী জানালেন, ছাগলের ৮টি চামড়া বিক্রি করে এক কেজি কাঁচা মরিচও পাওয়া যাচ্ছে না। বাড়ি বাড়ি ঘুরে ২০ থেকে ৪০ টাকা দামে ছাগলের চামড়া কিনেছি। গত বছরের মতো এবারেও লোকসান হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

পাইকারি চামড়া ব্যবসায়ী সুকুমার দাস ও সুনীল দাস বললেন, আমরা ২০০ থেকে সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা দরে গরুর চামড়া কিনছি। আর ছাগলের চামড়া সর্বোচ্চ ৪০ টাকা। এর চেয়ে বেশি দামে কেনা সম্ভব না।

তিনি বললেন, করোনার কারণে এবার চামড়া নিয়ে চরম বিপাকে পড়তে হয়েছে। জানিনা কি হবে। তবে লোকসানের ভয়ে রয়েছেন তারা।

(এসএম/এসপি/আগস্ট ০২, ২০২০)