নড়াইল প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়ায় এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ গণধর্ষণের মূলহোতা আসামী রিপন মোল্যা (৩৭) কে রবিবার সকালে আটক করেছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের কুমড়ি গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী মৃত ছব্দার মোল্যার ছেলে রিপন মোল্যা, মৃত মওলা মোল্যার ছেলে ওহিদুল মোল্যা ও তালবাড়িয়া গ্রামের আলিমুল মোল্যার ছেলে নূরুন্নবীসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনের একদল দূর্বৃত্ত ওই গ্রামের লিটন মোল্যার মেয়ে এক সন্তানের জননী (২৫) ও তার স্বামীকে পারিবারিক বিরোধ মীমাংশার কথা বলে গত বুধবার (৫ আগষ্ট) রাতে বাবার বাড়ী থেকে মোটর সাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। এরপর পথিমধ্যে দূর্বৃত্তরা ওই গৃহবধূর স্বামীকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে বেধড়ক মারপিট করে ফেলে রেখে যায়। পার্শ্ববর্তী আখড়াবাড়ীয়া গ্রামের একটি বাঁশবাগানে নিয়ে ধর্ষকরা মুখ বেঁধে ওই গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে গভীর রাতে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় তাকে তার বাবার বাড়ির পাশে ফেলে রেখে যায়। প্রতিবেশিরা তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে।

এদিকে, ধর্ষণের বিষয়টি প্রকাশ না করার জন্য হুমকি ধামকি দিয়ে নির্যাতিত পরিবারকে গৃহবন্দী করে রাখে ওই দূর্বৃত্তরা। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ঘটনার দুুদিন পর গত শুক্রবার (৭ আগষ্ট) আহত স্বামী ও স্ত্রী দুজনকে নড়াইল সদর হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই দিনই নড়াইল সদর হাসপাতালে গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে উভয়ে নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় গৃহবধূর পিতা লিটন মোল্যা বাদী হয়ে শনিবার তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনের নামে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রোববার সকালে রিপন মোল্যাকে তার বাড়ী থেকে আটক করেছে।

এ ব্যাপারে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ আশিকুর রহমান জানান, আটক রিপনের নামে সাতটি মাদক, একটি খুন এবং দুটি সংঘর্ষের মামলা রয়েছে। বাকি আসামীদের আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।

(আরএম/এসপি/আগস্ট ০৯, ২০২০)