রংপুর সিটি করপোরেশনের উপ-সহকারী প্রকৌশলীর দুটি পদে নিয়োগপত্র পেয়েছেন ১০ জন
মানিক সরকার মানিক, রংপুর : রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল শাখায় ৩৪ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই একই শাখায় বিধিবহির্ভূত প্রকৌশলী নিয়োগের ঘটনায় কর্মকর্তা-কর্মচারিদের মাঝে চাঞ্চল্য ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। উপ-সহকারী প্রকৌশলীর দু’টি পদে ১০ জনকে নিয়োগ দেয়ার ঘটনায় এ অবস্থার সৃষ্টি হলেও শাখা প্রধান বলছেন, তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না।
অন্যদিকে সিটি মেয়র বলছেন, সবকিছু তার একার পক্ষে দেখা সম্ভব নয়, তবে অনিয়মের এমন ঘটনা ঘটে থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবেন তিনি।
সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, করপোরেশনের প্রকৌশল শাখার দু’টি উপ-সহকারী প্রকৌশলীসহ ৫টি পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের জন্য জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী। তাতে দরখাস্ত জমা দেয়ার সবশেষ সময় দেয়া হয় ২৮ জুলাই।
কিন্তু কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ এবং দরখাস্ত জমা দেয়ার আগেই গত ১ জুন ওই দু’টি পদে যোগদান করেন দশ জন উপ-সহকারী প্রকৌশলী। আর মেয়র ওই নিয়োগপত্রে স্বাক্ষর করেন ২২ জুলাই। সোমবার বিষয়টি জানাজানি হবার পর করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
নিয়োগপ্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবুল বাশার জানান, তার নিয়োগ বোর্ডে প্রকৌশল শাখার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এমদাদ হোসেন স্যার ছিলেন। তিনি তার অধীনে কাজে যোগদান করেছেন বলেও জানান তিনি। অপর নিয়োগপ্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোস্তাফিজার রহমান জানান, আমরা ইন্টারভিড বোর্ডের মুখোমুখি হইনি। নিয়োগ দিয়েছেন মেয়র। সিটি করপোরেশনে এ অবস্থার সৃষ্টি হলেও এর দায় নিতে রাজি নন করপোরেশনের কেউই।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দরখাস্ত আহবানকারী ও প্রকৌশল শাখার প্রধান এমদাদুল হক গণমাধ্যমকে জানান, তিনি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন মাত্র। কিন্তু নিয়োগের এখতিয়ার তার নয় এবং এই নিয়োগ সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। অন্যদিকে সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা জানান, সবকিছু তারপক্ষে দেখা সম্ভব নয়, তবে যেহেতু নিয়োগপত্রে তার স্বাক্ষর রয়েছে তাই এর দায় তারই এবং এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবেন তিনি।
উল্লেখ্য, মাস খানেক আগে মেয়রের আত্মীয় পরিচয়ে অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া ওই প্রকৌশল শাখার ৫ কর্মকর্তা যান্ত্রিক শাখার বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নিয়ম বহির্ভূতভাবে ভাড়া দিয়ে ভাড়ার ৩৪ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনা ধরা পড়ে। বর্তমানে এ ঘটনার তদন্ত চলছে।
(এমএস/এসপি/আগস্ট ১৭, ২০২০)