সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : চলনবিল অধ্যুষিত সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স শুধু নামেই মাত্র ৫০ শয্যা বিশিষ্ঠ হাসপাতাল। মেডিসিন, সার্জারী,গাইনি, এ্যানেসথেসিয়া, ডেন্টাল সার্জন ও শিশু সহ একাধিক বিভাগ কিংবা পদ থাকলে ও নেই কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল ও কাঙ্খিত যন্ত্রপাতির অভাবে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির চিকিৎসা কার্যক্রম। এতে কাক্সিক্ষত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তাড়াশ উপজেলার রোগীরা।

তথ্যানুসন্ধানে ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জনবল তালিকা থেকে জানা যায়, উপজেলার প্রায় আড়াই লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসার একমাত্র ভরসাস্থল তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্র। ২০১৫ সালের ৭ আগস্ট তৎকালিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মাদ নাসিম তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্র টিকে ৩১শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করনের ফলক উন্মোচন করেন। এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ পদ থাকলে ও নেই কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।

তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্র এ সার্জারী, মেডিসিন, শিশু, গাইনি, কার্ডিওলজি, চক্ষু, চর্ম, নাক-কানগলা, অর্থপেটিকস, এ্যানেসথেসিয়া ও মেডিক্যাল অফিসারের পদ রয়েছে ১৭টি। । চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন মাত্র ১১ জন মেডিক্যাল অফিসার। ১৮জন নার্সের মধ্যে আছে ১৬ জন। পরিচ্ছন্ন কর্মীর পদ ৫টি আছে ১ জন। পরিসংখ্যাবিদ পদটি ও শুন্য। স্বাস্থ্য সহকারী পদ ৩৫টি আছে মাত্র ২৩জন। আলট্রাসনগ্রাম মেশিন নাই, এক্সরে ও ইসিজি মেশিন নষ্ঠ। ২ জন টেকনিসিয়ানের পদ থাকলেও আছে ১জন। রোগ নির্নয় ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় রোগীদের বাধ্য হয়ে প্রাইভেট ক্লিনিক অথবা ডায়াগনিস্টিক সেন্টারে যেতে হচ্ছে। ১টি আধুনিক অপারেশন থিয়েটার ও উন্নতমানের সার্জিক্যার যন্ত্রপাতি থাকলে ও নেই কোন জন বল। গর্ভবতীদের অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হলে ভুক্তভোগীদের যেতে হয় জেলা শহরে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ চিকিৎসা সেবা নিতে আসা আসমা, কোহিনুর, রাহেলা, সরবেশ, মাজেদসহ একাধিক রোগী জানান, বিশেষজ্ঞ কোন চিকিৎসক না থাকায় বাধ্য হয়ে জেলা শহর বা অন্যত্র যেতে হয়। এতে বাহিরে গিয়ে চিকিৎসা নিতে প্রচুর টাকা খরচ করতে হয় তাদের।

তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ জামাল মিয়া বলেন, তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ জয়েন্ট করার পর থেকেই আপ্রাণ চেষ্ঠা করে যাচ্ছি আড়াই লক্ষাধিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য। তবে কঠোর নজর দারীর কারনে কমিউনিটি ক্লিনিক গুলো স্বাস্থ্যসেবা অনেকটা নিশ্চিত করেছে ফলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ চাপ কিছুটা হালকা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, স্থানীয় কিছু প্রভাব সালীদের ছত্রছায়ায় হাসপাতাল ক্যাম্পাস গো-চারন ভুমিতে পরিনত করে ছিল। মাননীয় সাংসদ ডাঃ মোঃ আব্দুল আজিজের সার্বিক সহ যোগীতায় ক্যাম্পাস মুক্ত করেছি। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ শুণ্যপদ পুরনের জন্য উর্ধ্বতন কতৃপক্ষ সহ সংসদ সদস্যকে লিখিত ভাবে অবহিত করেছি। আমি আশা করি অল্প দিনের মধ্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পাব।

(এমএস/এসপি/আগস্ট ২৬, ২০২০)