পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যার চট্টগ্রামের পটিয়ায় প্রথম প্রতিবাদকারীদের খবর এ পর্যন্ত কেউ রাখেনি। অনেকে অনাহারে অর্ধহারে বয়সের ভারে বিনা চিকিৎসায় দিন যাপন করছে বলে তাদের পরিবারে অভিযোগ।

তৎকালিন আওয়ামী চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও পটিয়া পৌর এলাকার আবদুল হামিদ, চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও উপজেলার শোভনদন্ডী এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এম এ জাফর ও বঙ্গবন্ধুর চাচা খ্যাত মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক আবদুল খালেক, ডা. এমস খালেক খানসহ অনেকের ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধকে স্বপরিবার হত্যার পর সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের উপর জেল জুলুম নির্যাতন শুরু হয়। এর মধ্যে হত্যার প্রতিবাদে এম এ জাফর ও ডা. আবদুল খালেক খান মিলে চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন এলাকায় হাতের লেখা শতাধিক লিফলেট প্রচার করে প্রথম প্রতিবাদ জানান। এ লিফলেট প্রচারের খবর পেয়ে পুলিশ পটিয়ার শোভনদন্ডী এলাকার এম জাফর ও ডা. আবদুল খালেক খানের বাড়ীতে তাদের গ্রেফতার করতে যায়। পুলিশের ভয়ে পটিয়া ছেড়ে ডা. খালেক খান ও স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ ফরিদ ১৯৭৫ সালের ২৬ আগস্ট টঙ্গি পাড়া গিয়ে বঙ্গবন্ধু মাজার জিয়ারত করতে যান। সেখান থেকে দীর্ঘ কয়েক মাস আত্মগোপনে চলে যেতে বাধ্য হয়। পটিয়া উপজেলার শোভনদন্ডী ইউনিয়নের হাতিয়া ঘোনা এলাকার মরহুম আলহাজ্ব আমিনুর রশীদ খানের পুত্র ডা. এম এম খালেক খানের সাথে কথা এ প্রতিবেদকের সাথে কথা হলে তিনি জানান তার বড় ভাই মরহুম মুক্তিযোদ্ধা আবদুস ছমাদ খানসহ মুক্তিযুদ্ধের সময় তৎকালিন চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আবদুল হামিদ, বর্তমান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ সম্পাদক দিদারুল ইসলামের পিতা বঙ্গবন্ধুর চাচা খালেক খ্যাত, তৎকালিন সরকারের শিল্প ও প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক নুরুল ইসলাম চৌধুরী, শাহজাহান ইসলামাবাদী, ফয়েজুর রহমান এমপির নেতৃত্বে পটিয়া চন্দনাইশে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগ্রহ করা হয়। চন্দনাইশ বরকল হাই স্কুলে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষন দেয় এতে প্রশিক্ষক ছিলেন হাবিলদার আবু মোহাম্মদ ইসলাম। আমাদের সাথে যুদ্ধ করতে গিয়ে অনেকে নহিত হয়েছে পটিয়ায় অনেক ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত হয়ে ভাতা ভোগ করছে । অথচ প্রকৃত অনেক মুক্তিযোদ্ধা এখানো তালিকাভুক্ত হতে পারেনি। এব্যাপারে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদকারী ডাঃ এম এ খালেক খান বলেন, জাতির জনকের একাধিকবার কন্যা শেখ হাসিনা একাধিকবার দেশের প্রধান মন্ত্রী হলেও তার পিতার হত্যার প্রথম প্রতিবাদকারীদের খবর একদিনও রাখেনি। আমার মত অনেকে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হয়েও সনদ নিতে পারেনি। সাবেক মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী এবিএম তাজুল ইসলাম আমাকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার তালিকা ভুক্ত করা হবে বলে গেলেও এখনো কোন কাজ হয়নি।
এব্যাপারে দক্ষিন জেলা আ’লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এম এ জাফর বলেন, চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠারর মধ্যে আমি একজন, টানা ৪০/৪৫ বছর আওয়ামী লীগের রারজনীতি করেছে ব্যায় করেছি নিজের পকেটের প্রচুর টাকা ও সম্পদ, পটিয়ায় দলীয় এমপি নির্বাচিত করেিেছ দল ক্ষমতায় আসার পর দলীয় কর্মসুচীতে আমাকে দাওয়াত পর্যন্ত দেয়া হয় না।
এ ব্যাপারে পটিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহকারী কমান্ডার মৃণাল কান্তি বড়–য়া বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদকারীদের একদিনের জন্যও এ দেশে সম্মানের ব্যবস্থা করা হয়নি। অনেকে জেলা জুলুম নির্যাতনের শিকার ও হত্যা করা হয়েছে তাদের সম্মানের ব্যবস্থা করার জন্য প্রধান মন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যার নিকট দাবী জানান।
(এনআই/এএস/আগস্ট ১৬, ২০১৪)