স্পোর্টস ডেস্ক : ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ১৩তম আসরের দ্বিতীয় ম্যাচেই দেখা মিলেছে সুপার ওভারের। দিল্লি ক্যাপিট্যালস ও কিংস এলেভেন পাঞ্জাবের মধ্যকার রোমাঞ্চকর ম্যাচটি নির্ধারিত ২০ ওভার করে ৪০ ওভার পর ছিল অমীমাংসিত। ফলে দ্বারস্থ হতে হয় সুপার ওভারের। যেখানে সহজ জয় পেয়েছে দিল্লি।

অথচ মূল ম্যাচেই জিতে যাওয়ার কথা ছিল পাঞ্জাবের। তাদের ইনিংসের ১৯তম ওভারে কাগিসো রাবাদার ইয়র্কার লেন্থের একটি ডেলিভারিকে লং অনের দিকে ঠেলে দেন মায়াঙ্ক আগারওয়াল। দ্রুততার সঙ্গে দুই রান নেন দুই ব্যাটসম্যান মায়াঙ্ক ও ক্রিস জর্ডান। স্কয়ার লেগে দাঁড়ানো আম্পায়ার নিতিন মেনন জানান, জর্ডার প্রথম রান নেয়ার সময় পপিং ক্রিজের ভেতরে ব্যাট ছোঁয়াননি।

যার ফলে সেই দুই রান থেকে একটি রান কেটে নেয়া হয়। শেষপর্যন্ত এই এক রানের জন্যই মূল ম্যাচটি টাই হয়। ম্যাচ শেষে দিল্লির জয় ছাপিয়ে এখন আলোচনা চলছে সেই এক রান কম দেয়া নিয়েই। কেননা রিপ্লে ভিডিওতে স্পষ্টত দেখা গেছে, সেই রানটি বৈধভাবেই সম্পন্ন করেছিলেন জর্ডান। আর এটি দিলেই ম্যাচ জিতে যেতো পাঞ্জাব।

ম্যাচ শেষে এ আলোচনায় যোগ দিয়েছেন দিল্লির সাবেক ব্যাটসম্যান ভিরেন্দর শেবাগও। মূল ম্যাচে ২১ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলার পাশাপাশি বল হাতে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন মার্কাস স্টয়নিস। কিন্তু শেবাগের মতে, এই ম্যাচের আসল ম্যান অব দ্য ম্যাচ মূলত আম্পায়ার নিতিন মেনন।

তাই পুরস্কারটি স্টয়নিসের বদলে নিতিন মেননকেই দেয়ার কথা বলেছেন শেবাগ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে জর্ডানের সেই রানের ছবি আপলোড করে শেবাগ লিখেছেন, ‘আমি ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কারের সঙ্গে একমত নই। যেই আম্পায়ার শর্ট রান দিয়েছিল, সেই আম্পায়ারের ম্যান অব দ্য ম্যাচ পাওয়া উচিৎ। ঐটা শর্ট রান ছিল না এবং এটাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।’

প্রায় একই ভাষ্য ভারতের সাবেক ক্রিকেটার আকাশ চোপড়ার। তিনি লিখেছেন, ‘এটা এক রান শর্ট ছিল না। প্রয়োজনের সময় প্রযুক্তির সাহায্য নেয়া উচিৎ। কিন্তু এটা হয়তো সম্ভব হতো যদি থার্ড আম্পায়ার সময়মতো এটা খেয়াল করত। বিষয়টা কেমন হবে যদি ২ পয়েন্টের জন্য পাঞ্জাব পরের রাউন্ডে যেতে না পারে? খুবই কঠিন!’

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ২১, ২০২০)