স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহ-সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আমাকে হেয় পতিপন্ন ও আমাদের সংগঠনের রাজনৈতিক অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে সরকার ও তার সহযোগীরা এ মামলা করেছে। এটা ষড়যন্ত্র ও সরকারের কারসাজি।’

মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) এক তরুণীকে অপহরণ, ধর্ষণ, ধর্ষণে সহযোগিতা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় করা মামলার প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন। নুরসহ ছয়জনকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।

নুর বলেন, ‘সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন সরকারি দলের সহযোগিতা নিয়ে এই মেয়েকে প্রলুব্ধ করে মামলা করে। সেটার সত্যতাও এভাবে প্রমাণিত হয় যে, গতকাল মেয়েটা যে মামলা করেছিল তার অভিযোগ আর আজকের অভিযোগের মধ্যে কিছু তফাৎ লক্ষ্য করা যায়। প্রথমে বলেছিল, হাসান আল মামুনের সাথে তার রিলেশন ছিল। হাসান আল মামুন তাকে ওই বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করে। আবার এখানে বলছে, সোহাগ তাকে চাঁদপুর যাওয়ার পথে ধর্ষণ করে। এর মাধ্যমে এ মেয়ের কথায় ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান পরিলক্ষিত হয়। এখানে এ মেয়ে যে আমাদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ফাঁসিয়েছে তা তার কথাবার্তায় প্রমাণিত হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি, এ ধরনের মিথ্যা মামলা করে আমাদের দমানো যাবে না বা আমাদের অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না। আমরা গতকাল এ মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছি। আমাদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে কিন্তু জালিমের কারাগার আমাদের রাখতে পারেনি। কারণ তাদের সে নৈতিক অবস্থানটি নেই। তারা জানে আমাদের যদি অন্যায়ভাবে আটক করা হয় তাহলে সারাদেশে প্রতিবাদের দাবানল জ্বলে উঠবে। সে কারণে তারা আমাদের আটক রাখতে পারেনি। তারা এটাও বুঝতে পেরেছে যে, আমাদের বিরুদ্ধে যে মামলা করেছে সে অভিযোগ ভিত্তিহীন। যাই হোক, আমরা যেটা বুঝি এটা আসলে সরকারের কারসাজি।’

এর আগে সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ধর্ষণের মামলার পাশাপাশি পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগেও তাকে আটক করা হয়। এরপর তাকে নেয়া হয় ডিবি কার্যালয়ে। এর কিছুক্ষণ পরই তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।

২০ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থী লালবাগ থানায় মামলাটি করেন। মামলায় মোট ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ধর্ষণে সহযোগী হিসেবে নুরুল হক নুরের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ২২, ২০২০)