স্টাফ রিপোর্টার : দেশে ক্রমাগত বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় তিনটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে উঠেছে এবং বিপৎসীমার নিচে নেমেছে একটি নদীর পানি। বর্তমানে মোট সাতটি নদীর পানি সাতটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বদরগঞ্জ পয়েন্টে যমুনেশ্বরী নদীর পানি বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, চকরহিমপুর পয়েন্টে করতোয়া নদীর পারি চার সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং ঠাকুরগাঁও পয়েন্টে টাঙ্গন নদীর পানি ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এই তিনটি নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় বিপৎসীমার ওপরে উঠেছে। আর গত ২৪ ঘণ্টায় বিপৎসীমার নিচে নেমেছে লরেরগড় পয়েন্টে যদুকাটা নদীর পানি।

বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত সাতটি নদীর বাকি চারটির মধ্যে কুড়িগ্রাম পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, সারিয়াকান্দি পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি তিন সেন্টিমিন্টার, সিংড়া পয়েন্টে গুড় নদীর পানি ৭০ সেন্টিমিটার এবং আত্রাই পয়েন্টে আত্রাই নদীর পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এসব তথ্য জানিয়েছে।

নদনদীর পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি স্থিতিশীল আছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃদ্ধি পেতে পারে। অপরদিকে যমুনা নদীর পানি কমছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টায় স্থিতিশীল থাকতে পারে। গঙ্গা নদীর পানি বাড়ছে, যা আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত বৃদ্ধি অব্যাত থাকতে পারে। পদ্মা নদীর পানি স্থিতিশীল আছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃদ্ধি পেতে পারে।

উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উজান মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টায় স্থিতিশীল থাকতে পারে।

এদিকে বাংলাদেশ ও উজানে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ৯টা থেকে রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টি হয়েছে পঞ্চগড়ে ৩১৫ মিলিমিটার, লালাখালে ১৪১, কাউনিয়ায় ৭৮, রংপুরে ২৬৫, দিনাজপুরে ১২৪, মহাদেবপুরে ৬০, ডালিয়ায় ২৫৫, ঠাকুরগাঁওয়ে ১২০, সিলেটে ৫০, কুড়িগ্রামে ১৫৬, জাফলংয়ে ৮৮ এবং চিলমারীতে ৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

একই সময়ে উজানে বৃষ্টি হয়েছে চেরাপুঞ্জিতে ১৬৩, জলপাইগুড়িতে ৮০ এবং কৈলাশহরে ৫৯ মিলিমিটার।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২০)