প্রদীপ কুমার রায়, লক্ষ্মীপুর : আবদুল কাদের (৩২)। ৪ ভাই-বোনের মধ্যে তিনি সকলের বড়। তিনি করোনাক্রান্তি অবস্থায় প্রায় ২৫ দিন আগে একেবারে সৌদি আরব থেকে বাড়ীতে চলে আসেন। শুক্রবার (২ অক্টোবর) দুপুরে পারিবারিকভাবে তার বিয়ের জন্য সকল আয়োজনও সম্পুর্ণ হয়। বাড়ীতে আনন্দ উৎসব চলছে এবং মেহমানও আসতে শুরু করেছেন। ভোরে মসজিদে ফজরের নামাজ পড়ে ঘরে এসে  রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে নিখোঁজের তিন ঘন্টা পর সুপারি বাগানের ভিতরের পরিত্যাক্ত পুকুরে কাদেরের লাশ ভাসতে দেখে তোলপাড় শুরু হয়। এটিকে স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে মেনে নিতে পারছেনা কেউ। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (০২ অক্টোবর)-লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার কেরোয়া ইউপির খলিফা মসজিদের সংলগ্ন জগার বাড়ীর পুকুর পাড়ে। নিহত আবদুল কাদের একই এলাকার জয়নাল আবেদিনের ছেলে। 

নিহতের মাতা আছিয়া বেগম ও পিতা জয়নাল আবেদিন জানান, প্রায় দুই বছর আগে কাদের সৌদি আরব থেকে বাড়ীতে এসে বেকার সময় কাটায়। তার ছোট ভাইও সৌদি আরব রয়েছেন। এরই মধ্যে তার বিয়ে ঠিক হয় চরমোহনা ইউপির চালতাতুলি এলাকার মোখলেস ও রোকেয়া বেগমের মেয়ে সুমি আক্তারের সাথে।

শুক্রবার ভোরে ফজরের নামাজ পড়ে ঘরে আসে কাদের। দুই ঘন্টা পর কাদের ঘর থেকে বের হওয়ার জন্য চেষ্টা করলে তার পিতা বাঁধা দেন। এতে কাদের বাঁধা উপেক্ষা করে রাস্তায় বের হয়ে নিখোঁজ হয়। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে প্রায় তিন ঘন্টা পর জগাগো বাড়ীর সুপারি বাগানের ভিতর পরিত্যাক্ত পুকুরে কাদেরের লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়া হয়। পরে লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ।

রায়পুর থানার ওসি আবদুল জলিল বলেন, প্রবাস ফেরত কাদেরের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় ইউডি মামলা হয়েছে।

(পিকে/এসপি/অক্টোবর ০২, ২০২০)