জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ১৩ বছরের এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণের ঘটনার একমাস পেরিয়ে গেলেও মামলার আসামি ধর্ষক মাসুদ রানাকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুুলিশ। রহস্যজনক কারণে আসামিকে গ্রেফতার না করায় উল্টো প্রভাবশালী ধর্ষক পরিবারের মামলা তুলে নেওয়ার হুমকিতে আতঙ্কে দিন পার করছে ধর্ষিতার পরিবার।

এ নিয়ে শনিবার (৩ অক্টোবর ) সকালে সরিষাবাড়ী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন করেন ধর্ষিতার বাবা মো. তোফাজ্জল হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে ধর্ষিতা প্রতিবন্ধী শিশু ও তার মা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে ধর্ষণ মামলার বাদী ও ধর্ষিতার বাবা মো. তোফাজ্জল হোসেন লিখিত বক্তব্যে জানান, তিনি উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের চরবালিয়া গ্রামের এক স’মিলে কাজ করেন। তিনি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। তার একমাত্র মেয়ে জন্ম থেকেই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। গত ৩০ আগস্ট সকালে কাজে যাবার পর ফিরতে রাত হয়ে গেলে তার স্ত্রী ও ছেলে তাকে রাস্তায় এগিয়ে আনতে যান। এসময় রাত ১০টার দিকে বাড়ি ফাঁকা পেয়ে একই গ্রামের সোহরাব হোসেনের বখাটে ছেলে মাসুদ রানা ওই শ্রমিকের ঘরে ঢুকে তার প্রতিবন্ধী মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়। তারপর মাসুদ রানা তার ঘরে নিয়ে ওই শিশুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় ধর্ষিতার পরিবার এলাকায় বিচারপ্রার্থী হলে ধর্ষকের পরিবার তাকে চাপপ্রয়োগ ও বিয়ের নামে কালক্ষেপণ করতে থাকে। এলাকায় প্রতিকার না পেয়ে ৯ সেপ্টেম্বর তিনি থানায় ধর্ষক মাসুদ রানার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। কিন্তু ঘটনার একমাস পেরিয়ে গেলেও ধর্ষককে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।

তিনি অভিযোগ করেন, ধর্ষকের পরিবার প্রভাবশালী। তাই পরিবার নিয়ে তিনি আতঙ্কে দিন পার করছেন। তাই প্রশাসনের প্রতি তার গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানান।

সরিসাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ আবু মো. ফজলুল করীম উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ'কে জানান, ধর্ষক ও তার পরিবারের সব লোকজন পলাতক রয়েছে। মোবাইল ট্রেকিং করে ধর্ষককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

(আরআর/এসপি/অক্টোবর ০৩, ২০২০)