পঞ্চগড় প্রতিনিধি : পঞ্চগড় জেলার সর্বমহলে মদ্যপায়ী হিসেবে পরিচিত শহীদুল ইসলাম শহীদ, শিক্ষক, নাট্যকার ও সাংবাদিক আব্দুর রহিম কে বেধড়ক মারধর করেছে। ঘৃণিত এই ঘটনাটি ঘটেছে ৫ অক্টোবর, বেলা পৌনে ১১ টায় পঞ্চগড় প্রেসক্লাবে। ওই দিন আব্দুর রহিম একটি প্রকাশনার ব্যাপারে পঞ্চগড় প্রেসক্লাবের সভাপতির সাথে কথা বলার জন্য প্রেসক্লাবে যান।

ওই সময় সভাপতি প্রেসক্লাবে ছিলেন না। ক্লাবে বসে প্রকাশ্যে তরল নেশা করছিল প্রথম আলো পত্রিকা থেকে মাদক সেবনের অপরাধে চাকুরীচ্যুত বর্তমান দেশ রূপান্তর এর পঞ্চগড় প্রতিনিধি শহীদুল ইসলাম শহীদ। তার পাশে বসে ধুমপান করছিলেন গোফরান বিপ্লব নামের এক সাংবাদিক। আব্দুর রহিম প্রেসক্লাবে প্রবেশ করা মাত্র মাদকাসক্ত শহীদুল আব্দুর রহিম কে অকথ্য ভাষায় গালা-গালিজ শুরু করেন।

এক পর্যায়ে সে বলে, ‘মোল্লা জালাল তোকে পিটিয়ে লাশ বানিয়ে ফেলতে বলেছে।’ এই বলে সে টেবিলের ওপর নেশার পাত্র রেখে আব্দুর রহিম কে এলোপাথারি কিল-ঘুষি, লাথি মারে। এক পর্যায়ে আব্দুর রহিমের গলা টিপে ধরে এবং রহিম এর গেঞ্জির বুক পকেটে থাকা পঞ্চাশ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।

আব্দুর রহিম এর আত্মচিৎকারে পথচলা ‘ইনসান’ নামের এক সাংবাদিক প্রেসক্লাবে প্রবেশ করে আব্দুর রহিম কে রক্ষা করেন এবং প্রেসক্লাবের বাইরে নিয়ে আসেন। এসময়বাইরে অবস্থানরত লোকজন মাদকাসক্ত শহীদুল কে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিতে উদ্যত হলে, প্রহৃত সাংবাদিক আব্দুর রহিম কাউকে আইন হাতে তুলে না নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। পরে পঞ্চগড় জেলা প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক রাসেদুজ্জামান রাসেদ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে আহত আব্দুর রহিমকে পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে চিকিৎসা করান।

এ ব্যাপারে প্রহৃত আব্দুর রহিম এর সাথে কথা হলে রহিম বলেন,‘বিষয়টি প্রেসক্লাবের সভাপতিকে ফোনে অবহিত করলে সভাপতি আমাকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর প্রনোদনার টাকা নিয়ে আপনার ফেসবুকে দেয়া স্টেটাসে পঞ্চগড়ের সাংবাদিকরা আপনার ওপর প্রচন্ডক্ষুব্ধ। পিআইবির ডিজি ও সাংবাদিক নেতা মোল্লা জালাল আমাদের প্রেসার দিয়েছে।যেকারনে শহীদুল ইসলাম শহীদ আপনাকে মারধর করেছে বলে মনে হচ্ছে। বিষয়টি আমি দেখব।’

এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আব্দুর রহিম পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডের অতিরিক্ত ২ নম্বর বিছানায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ব্যাপারে প্রহৃত আব্দুর রহিম আরও বলেন, ‘এর আগে গত ৯ আগস্ট শহীদুল ইসলাম শহীদ এর ছোট ভাই সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ আমাকে জবাই করে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। এ ব্যাপারে পঞ্চগড় সদর থানায় মামলা করতে গেলে সংশ্লিষ্ট থানার ওসি মামলা গ্রহণ না করে, মিমাংসা হওয়ার পরামর্শ দেন। আমি সুস্থ হয়েই মামলা করব। সভ্য সমাজে মাদকাসক্ত কোন ব্যক্তির সাংবাদিকতা করার অধিকার নেই।’

(এ/এসপি/অক্টোবর ০৬, ২০২০)