রাণীশংকৈল প্রতিনিধি : উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের অনিয়ম দূনীতি, জনদূর্ভোগের সংবাদ, সরকারী উন্নয়ন মুলক কাজের সংবাদ, সরকারী হাটে অতিরিক্ত ইজারা আদায়সহ বিভিন্ন বিষয়ের সংবাদে কোন বক্তব্য দিতে চান না ইউএনও মৌসুমী আফরিদা। তাছাড়াও তিনিসহ তার পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরে সংবাদকর্মীরা সাধারণ তথ্য নিতে গেলেও অনেক ঝামেলা করে কর্মকর্তারা। বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে তথ্য দিতে টালবাহানা করার অভিযোগও রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে অনেক বেকায়দায় পড়তে হয় ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলায় কর্মরত ইলেকট্রনিক প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদকর্মিদের।

এ নিয়ে সোমবার(১২ অক্টোবর) উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী আফরিদা’র সাথে তার কার্যালয়ে সংবাদকর্মীরা এক বৈঠকে বসেন। সেখানে ইউএনও মৌসুমী আফরিদা প্রেস ক্লাব সভাপতি ফারুক আহাম্মদ সরকার সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আকাশসহ স্থানীয় সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে সাংবাদিকদের ফোন না ধরা, সংবাদে বক্তব্য না দেওয়া উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে অনিয়ম দূর্নীতিতে অবস্থানসহ সম-সাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ইউএনও’কে প্রশ্ন করলে তিনি সে-সবের কোন সদুত্তর বা সুরাহা না দিয়ে মিটিং আছে বলে সংবাদকর্মিদের সাথে বসা বৈঠক থেকে দ্রুত উঠে পড়েন। ইউএনও’র এমন অনাকাংখিত আচরণ নিয়ে তাৎক্ষনিক রাণীশংকৈল প্রেস ক্লাবে এক জরুরী সভা হয়। সেই সভা থেকে উপজেলা প্রশাসনের সকল সংবাদ বর্জনের ঘোষনাসহ পরবর্তীতে আলোচনা করে তার এমন আচরণের বিরুদ্ধে কর্মসুচি নেওয়ার সির্দ্বান্ত গৃহিত হয় বলে জানান প্রেস ক্লাবের প্রচার সম্পাদক বিজয় রায়।

প্রেসক্লাব সভাপতি ফারুক আহাম্মদ সরকার বলেন, তিনি চরমভাবে সংবাদকর্মীদের হয়রানী করেন। যে কোন সংবাদে তিনি তো বক্তব্য দিতে চান না। তাছাড়াও ফোন দিলেও ধরেন না। র্দীঘদিন ধরে তার এমন আচরণ দেখছি ।
প্রেস ক্লাব সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আকাশ বলেন, সংবাদকর্মীরা অনেক পরিশ্রম করে শরীরের ঘাম ঝড়িয়ে সংবাদ সংগ্রহ করে। এমন কিছু সংবাদ রয়েছে যে সংবাদে ইউএনও’র মন্তব্যটা অতি জরুরী, না হলে সংবাদটি পরিবেশন করায় দুস্কর। এমন সংবাদগুলোতেও তিনি কোন মন্তব্য করতে চান না। তাছাড়াও ফোন না ধরার অভিযোগ তো রয়েছেই।

(কেএস/এসপি/অক্টোবর ১২, ২০২০)