শরীয়তপুর প্রতিনিধি : ইলিশের প্রজনন মৌসুমে সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ মাছ শিকারের চেষ্টা কালে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় ৭ জেলেকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জেল জরিমানা করা হয়েছে। ৩১টি মাছ ধরার ট্রলার আটক করা হয়েছে। আড়াই লক্ষ মিটার কারেন্ট জাল উদ্ধার করে পুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন। 

এছাড়াও পদ্মা নদীর তীর থেকে ৬টি অস্থায়ী খাবার হোটেল ও ২টি মাছঘাট অপসারণ করা হয়েছে। অভিযানের প্রথম দিনেই শরীয়তপুরের প্রশাসনের কড়া নজরদারি রেখে চলেছেন ইলিশ নিধন ঠেকাতে। মা ইলিশ নিধন রোধে জাজিরার বিলাশপুরে পদ্ম নদীর তীরে অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করেছে রেপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান র‌্যাব।

জাজিরা উপজেলা প্রশাসন ও জেলা মৎস বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম শুরু হয়েছে ১৪ অক্টোবর প্রথম প্রহর থেকে। আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন থাকবে মৌসমের মেয়াদ। ২২ দিনই চলবে নদীতে প্রশাসনের অভিযান। মৌসুমের প্রথম দিনেই জেলার জাজিরা, নড়িয়া,ভেদরগঞ্জ ও গোসাইরহাট উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। জাজিরা উপজেলায় অভিযান চালিয়ে মা ইলিশ শিকারের সময় পদ্মা নদী থেকে আব্দুল মতিন (৬০), আল আমিন (৩২) ও গহন আলী (৪২ কে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে প্রত্যেককে ১ বছর করে কারাদন্ড করেছেন জাজিরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আশরাফ উজ্জামান ভূঁইয়া। এ ছারাও ৪ জনকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে প্রতিজনকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কাফী বিন কবীর। এদিকে নড়িয়া উপজেলায় অভিযানে ৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল উদ্ধারের খবর জানিয়েছে মৎস অফিস।

শরীয়তপুর জেলা মৎস কর্মকর্তা মো. আব্দুর রউফ জানিয়েছেন, জেলার পদ্মা নদীর জল সীমায় আগামী ২২ দিন সার্বক্ষনিকভাবে মা ইলিশ রক্ষায় প্রশাসনের সহায়তায় অভিযান অব্যাহত রাখবে মৎস বিভাগ।

(কেএনআাই/এসপি/অক্টোবর ১৪, ২০২০)