আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : বরিশালের আগৈলঝাড়ায় কলেজ ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় অবশেষ ধর্ষিতা ছাত্রীর মায়ের থানায় মামলা দায়ের, অভিযুক্ত ধর্ষকসহ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধর্ষিতাকে ডাক্তারী পরীক্ষা ও আদালতে জবানবন্দি প্রদানের জন্য আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।  

থানা অফিসার ইন চার্জ মো. গোলাম সরোয়ার জানান, স্থানীয় কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের কলেজ ছাত্রী (২০) ধর্ষণে ঘটনায় ওই ছাত্রী মা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে থানায় মামলা দায়ের করেন, নং-৫ (১৫.১০.২০)।

ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহজাহান বৃহস্পতিবার তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ধর্ষক পাকুরিতা গ্রামের হরেণ জয়ধরের ছেলে শুকদেব জয়ধরকে (২৫) গ্রেফতার করেছে। এসময় এজাহারভুক্ত আসামী অভিযুক্ত শুকদেবের মা গৌরী জয়ধরকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এজাহারের বরাত দিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহজাহান জানান, নির্যাতীতা দরিদ্র পরিবারের ওই ছাত্রীর বাবা গত ২৬ সেপ্টেম্বর মারা যান। ১২ অক্টোবর (সোমবার) ছাত্রীর মা ধর্ষণ মামলার বাদী তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে গেলে ওই দিন দিবাগত রাত সাড়ে এগারোটার দিকে তার মেয়ে প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে দরজা খোলা মাত্রই পূর্বে থেকে ওৎপেতে থাকা পাশ্ববর্তি বাড়ির বখাটে শুকদেব জয়ধর (২৫) বাদীর ঘরে ঢুকে তার মেয়েকে একা পেয়ে শ্লীলতাহানী করে। এক পর্যায়ে ওই রাতে শুকদেব তার মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। ধর্ষিতার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে ধর্ষক শুকদের দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে তার মেয়ে ধর্ষক শুকদেবকে বিয়ে করতে বললে শুকদেব তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে।

এদিকে মামলার অপর আসামী শুকদেবের বাবা ও মা সম্প্রতি তাদের ছেলে ধর্ষক শুকদেবকে তড়িৎগতিতে উজিরপুরের কালবিলা গ্রামে বিয়ে করান। ধর্ষণের ঘটনার বিচার না করে ছেলেকে অন্যত্র বিয়ে করানোয় ধর্ষক সুকদদেবের বাবা ও মাকেও ওই মামলায় আসামী করা হয়।

এদিকে ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ের দাবিতে ঘটনার দিন সোমবার রাত থেকে ধর্ষিতা ছাত্রী ধর্ষক শুকদেবের ঘরে অবস্থান নিলে ধর্ষক শুকদের বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল।

বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে এবং ওই দিন ধর্ষিতাকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বরিশাল শেবাচিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও জবানবন্দি প্রদানের জন্য আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

(টিবি/এসপি/অক্টোবর ১৫, ২০২০)