স্পোর্টস ডেস্ক : সদ্য সমাপ্ত পাকিস্তানের ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপে অসাধারণ ব্যাটিং করেছিলেন ২০ বছর বয়সী তরুণ আবদুল্লাহ শফিক। ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে তার অভিষেকই হলো এবারের ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপে।

উদ্বোধনী ম্যাচেই সাউদার্ন পাঞ্জাবের বিপক্ষে করলেন দুর্দান্ত সেঞ্চুরি। ৫৮ বলে খেলা সেই সেঞ্চুরিতে সেন্ট্রাল পাঞ্জাবকে অসাধারণ এক জয় এনে দেন। ১১টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৪টি ছক্কার মার মেরিছিলেন তিনি আমির ইয়ামিন, মোহাম্মদ ইরফান, মোহাম্মদ ইলিয়াস কিংবা হুসাইন তালাতদের।

উদয়ের পথেই আলোকচ্ছটা ছড়িয়ে দিলেন কিছুদিন আগেও পাকিস্তান অনুর্ধ্ব-১৯ দলে খেলা তরুণ এই ব্যাটসম্যান। গত মৌসুমের কায়েদ-ই আজম ট্রফিতে অভিষেক হয় প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে। সেন্ট্রাল পাঞ্জাবের হয়ে অভিষেকেই দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে বসেন এই যুবা। করেছিলেন ১৩৩ রান।

সেই সেঞ্চুরির পর ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপের প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি- পাকিস্তানের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রথম শ্রেণি এবং টি-টোয়েন্টির অভিষেক ম্যাচেই সেঞ্চুরি করার রেকর্ড গড়লেন তিনি।

সেই অসাধারণ ব্যাটসম্যানকে জাতীয় দলে কেউ জায়গা করে দিতে হলো না। পারফরম্যান্স দিয়ে নিজেই জায়গা করে নিলেন পাকিস্তান জাতীয় দলে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য পাকিস্তান দলে ডেকে নেয়া হয়েছে তরুণ এই বিধ্বংসী ব্যাটসম্যানকে।

সদ্য সমাপ্ত ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপের অভিষেকে সেঞ্চুরিই নয়, ১০ ম্যাচে ১৩৩ স্ট্রাইক রেটে তিনি করেছেন সর্বমোট ৩৫৮ রান। এ কারণেই মূলতঃ তাকে ডেকে নেয়া হয়েছে জাতীয় দলে।

তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘোষিত এই স্কোয়াড থেকে বাদ দেয়া হয়েছে তিন সিনিয়র ক্রিকেটারকে। সরফরাজ আহমেদ, শোয়েব মালিক এবং মোহাম্মদ আমিরকে। ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপের ফাইনালে অসাধারণ খেলেছিলেন শোয়েব মালিক। ২২ বলে অপরাজিত ৫৬ রানের ইনিংস খেলে তিনি শিরোপা এনে দেন খাইবার পাখতুনখাওয়াকে। এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পরও বাদ দেয়া হলো শোয়েব মালিককে।

পাকিস্তান স্কোয়াড

বাবর আজম, মোহাম্মদ হাফিজ, ফাখর জামান, আবদুল্লাহ শফিক, শাদাব খান, হায়দার আলি, হারিস রউফ, হারিস সোহেল, শাহিন শাহ আফ্রিদি, খুশদিল শাহ, ইমাদ ওয়াসিম, মোহাম্মদ রিজওয়ান, ইমাম-উল হক, উসমান সিনওয়ারি, ইফতিখার আহমেদ, আবিদ আলি, রোহাইল নাজির, উসমান কাদির, জাফর গওহর, মোহাম্মদ হাসনাইন, মোহাম্মদ মুসা এবং ওয়াহাব রিয়াজ।

(ওএস/এসপি/অক্টোবর ১৯, ২০২০)