স্টাফ রিপোর্টার : করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবজনিত পরিস্থিতির কারণে প্রায় সাত-আট মাস বন্ধ ছিল সবধরনের প্রদর্শনী। এতে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উদ্যোক্তারা দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ইতোমধ্যে বিসিকসহ সব শিল্পপ্রতিষ্ঠান এবং তৈরি পোশাক শিল্পকারখানা খুলে দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালু হয়েছে।

তাছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানও খুলে দেয়া হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পোদ্যোক্তারা মেলা চালু করার জন্য বিসিক কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করে আসছিল। ফলে জাতির পিতার কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে বিসিক পাঁচ দিনব্যাপী হেমন্ত মেলার আয়োজন করে। বিসিক ভবনে আয়োজিত এ মেলায় প্রায় ৬০ জন ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পোদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করেন।

রবিবার (১৮ অক্টোবর) বিসিক চেয়ারম্যান মো. মোশতাক হাসান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ‘হেমন্ত মেলা ১৪২৭ ও কারুশিল্প প্রদর্শনী’র শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিসিকের পরিচালক (বিপণন, নকশা ও কারুশিল্প) মো. আলমগীর হোসেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রধান নকশাবিদ জেসমিন নাহার।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিসিক চেয়ারম্যান মো. মোশতাক হাসান মেলায় আগত ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উদ্যোক্তা, ক্রেতা ও বিক্রেতাদের যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবজনিত পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অতিক্ষুদ্র, কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তারা। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উদ্যোক্তাদের ক্ষতির বিষয়টি বিবেচনা করে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

বর্তমানে রাজধানীর বিপণি-বিতানগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখা হয়েছে। এছাড়া বাস, ট্রেন, লঞ্চ, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান সবকিছু খুলে দেয়া হয়েছে। বিসিকের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মেলার আয়োজন করা হয়েছে, যাতে উদ্যোক্তারা উৎপাদিত পণ্য বিপণনের মাধ্যমে তাদের ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারেন। এছাড়া ক্রেতা সাধারণকে মাস্ক পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাকাটার আহ্বান জানান বিসিক চেয়ারম্যান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক (অর্থ) স্বপন কুমার ঘোষ, পরিচালক (শিল্প উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ) মো. খলিলুর রহমান, বিসিক সচিব মো. মফিদুল ইসলাম, মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) অখিল রঞ্জন তরফদার, উপমহাব্যবস্থাপক (গবেষণা) গুলশান আরা বেগম, আইসিটি সেলপ্রধান প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন, ব্যবস্থাপক (ঋণ প্রশাসন) জি এম রব্বানী তালুকদারসহ বিসিকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

মেলার স্টলগুলোতে হস্ত ও কুটির শিল্পজাত বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী স্থান পেয়েছে। তাছাড়া প্রদর্শনীতে বিসিক থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীদের তৈরি হস্ত ও কুটির শিল্পজাত পণ্যসামগ্রী প্রদর্শিত হচ্ছে। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

(ওএস/এসপি/অক্টোবর ১৯, ২০২০)