স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর : ধানের জেলা দিনাজপুরে দু’চোখ মেললেই দিগন্তজুড়ে চোখে পড়ছে,আমনের মাঠে সবুজ-সোনালীর সমারোহ। চলতি মৌসুমে আমনে মাঠের পর মাঠ যেন সবুজ-সোনালীতে ভরে গেছে। ফলনের আশায় কৃষকের মুখে এখন হাসির ঝিলিক। ধান রক্ষায় ফসলের মাজরা গাছ ফড়িং,ব্লাষ্ট ও ইঁদুর দমনে উদ্ধুকরণ সভা করছে,কৃষি বিভাগ। রোগ-বালাই দমনে বাড়ন্ত আমন ধান রক্ষায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষক।

জেলার সদর উপজেলার ১ নং চেহেলগাজী ইউনিয়নের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা আরিফুর রহমান আরিফ জানালেন,আমন ধান রক্ষায় করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতেও ঝুঁকি নিয়ে লিফলেট বিতরণ,মাঠ পরিদর্শন ও কৃষককে উদ্ধুদ্ধ করণে দিন-রাত মাঠে নিরলসভাবে কাজ করছেন,দিনাজপুরের কৃষি কর্মকর্তা ও কর্মীরা। করোনা পরবর্তী খাদ্য চাহিদা পূরণ ও দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে প্রতি জমিতে ফসল উৎপাদন ও রক্ষায় তাদের এ কার্যক্রম।

চলতি মৌসুমে দিনাজপুরে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে,২ লাখ ৬০ হেক্টর জমিতে। কিন্তু,অর্জিত হয়েছে বেশি জমিতে। দিনাজপুরে এবার আমনের বীজতলার শুরুতে বন্যার ধকরে পড়ে কৃষক। তা কাটিয়ে তুললেও বাড়ন্ত আমন ফসলে মাজরা গাছ ফড়িং,ব্লাষ্ট ও ইঁদুর দমনে আগম দেখা দেয়। তবে, কৃষি বিভাগের উদ্ধুকরণ সভা,পরামর্শ ও সহযোগিতায় রোগ-বালাই দমন করতে সক্ষম হয়েছে কৃষক। এমটাই জানালেন,বিরল উপজেলার পুরিয়া গ্রামের রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত আদর্শ কৃষক মতিউর রহমান।

জেলার দিগন্তজুড়ে এখন শুধু আমনের মাঠে সবুজ-সোনালীর সমারোহ। সবুজ-সোনালীতে ভরে গেছে আমনে মাঠের পর মাঠ।ফলনের আশায় কৃষকের মুখে এখন হাসির ঝিলিক।অধিকাংশ কৃষক এবার উচ্চ ফলনশীল ব্রি-ধান ৩৪, ৪৯, ৫৭, ৬২, স্বর্ণা, সুমন স্বর্ণা, গুটি স্বর্ণা, হাইব্রিডের এসিআই-১ ও ২ জাতের ধান রোপন করেছেন।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো.তৌহিদুল ইকবাল জানালেন, ধান রক্ষায় ফসলের মাজরা গাছ ফড়িং,ব্লাষ্ট ও ইঁদুর দমনে উদ্ধুকরণ সভা করছে,কৃষি বিভাগ। এজন্যে বন্ধ করা হয়েছে,মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তা ও কর্মীদের ছুঁটি।রোগ-বালাই দমনে বাড়ন্ত আমন ধান রক্ষায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষক। কৃষকের নিবিড় যতœ আর ভালবাসায় বেড়ে ওঠছে রোপা আমন।

সরজমিনে দেখা গেছে, দিগন্ত বিস্তৃত এই ধান ক্ষেতেই জানান দিচ্ছে,এবার এ অঞ্চলে আমনের ভালো ফলন হওয়ার স্ভাবনা রয়েছে।শেষ অবধি সার ও সেচ নিশ্চিত হলে এবং আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে অর কয়েক সপ্তাহ পর এই সোনার ধান কৃষক ঘরে তুলবে,এমনটাই মন্তব্য করছেন,সংশ্লিষ্টরা।

(এস/এসপি/অক্টোবর ১৯, ২০২০)