আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : সরকারি ওষুধ রোগিদের মাঝে বিতরণ না করে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশে ফেলে দেয়ার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের।

সোমবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. সাইয়্যেদ মো. আমরুল্লা’র গঠিত তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির প্রধান ডা. মাজেদুল কাওসারসহ অন্যান্যরা সরেজমিনে তদন্তে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন।

সূত্রমতে, ওই কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্যাকমো স্নিগ্ধা রায় নিয়মিতভাবে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসেন না। যখন আসেন তখন চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ রোগিদের কাছ থেকে ওষুধ বাবদ টাকা আদায় করে থাকেন। টাকা না দিলে ওষুধ নেই বলে রোগিদের জানিয়ে দেয়া হয়।

অতিসম্প্রতি ওই কেন্দ্রের পিছনের অংশে ফেলে দেয়া অসংখ্য সরকারি বরাদ্দের ওষুধ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। স্থানীয়রা ওষুধগুলো যত্রতত্র ফেলে দেয়ার ঘটনায় তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে জোর দাবি করেন। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের টনগ নড়ে।

এ ব্যাপারে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. সাইয়্যেদ মো. আমরুল্লা জানান, স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশে সরকারি ওষুধ ফেলে দেয়ার কোন সুযোগ নেই। যদি ওষুদের মেয়াদ শেষ হয়ে যায় তবে সে আমাকে জানাবে। তারপর সিভিল সার্জনকে জানিয়ে এগুলো ধ্বংস করতে হবে। কিন্তু আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। এছাড়া স্যাকমো স্নিগ্ধা রায় নিয়মিত অফিস করেন না মর্মে আমার কাছে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।

তিনি আরও জানান, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(টিবি/এসপি/অক্টোবর ১৯, ২০২০)