স্টাফ রিপোর্টার : বাড়তি ফি আদায় না করা, ২০ শতাংশ টিউশন ফি মওকুফের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ে দিনভর শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান কর্মসূচি পালন করলেও বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশের গেট অবরুদ্ধ করতে যান শিক্ষার্থীরা। এ সময় নিরাপত্তাকর্মীর আঘাতে এক নারী শিক্ষার্থী আহত হন, এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। বর্তমানে তারা সবগুলো গেট অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করছেন।

আন্দোলনকারীরা জানান, আমরা যৌক্তিক দাবি আদায়ে গত দুই দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বরত কেউ দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দেয়নি। আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়নে ভিসি স্যারের পক্ষ থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত সময় চাওয়া হলেও তিনি আমাদের মাঝে এসে সে ঘোষণা দেননি। বিভিন্ন মাধ্যমে ও মোবাইলে এসএমএস করে তা বলা হচ্ছে। তা আমরা মেনে নেব না।

তারা বলেন, দিনভর শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিকেল ৫টায় নর্থ সাউথের সব গেটের সামনে অবস্থান নিয়ে প্রবেশপথগুলো অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশের গেট অবরুদ্ধ করার সময় নিরাপত্তা কর্মীরা বাধা দেয় ও একজন নিরাপত্তাকর্মী নারী শিক্ষার্থীকে আঘাত করেন। এ ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। বর্তমানে তারা সব প্রবেশের গেট অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। পাশাপাশি সেই নিরাপত্তা কর্মীকে শনাক্ত করে ক্ষমা চাইতে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন।

আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী নর্থ সাউথের ছাত্র আরাফাত সোমবার বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে প্রায় সবাই আর্থিক সঙ্কটে রয়েছেন। এ কারণে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে গত সেমিস্টারে ২০ শতাংশ টিউশন ফি মওকুফ করে নর্থ সাউথ কর্তৃপক্ষ।

তিনি বলেন, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি আরও তীব্রতর হওয়ার আশঙ্কা শুরু হলে কোন নোটিশ ছাড়াই এ সুবিধা বাতিল করেছে নর্থ সাউথ কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে একাধিকবার নানা মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কোন সাড়া দেয়নি কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে তারা বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছেন বলে জানান। দাবি আদায়ে তারা বিকেল থেকে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব গেট অবরুদ্ধ করে ভিসিসহ সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে রেখেছেন।

(ওএস/এসপি/অক্টোবর ১৯, ২০২০)