রাজবাড়ি প্রতিনিধি : রাজবাড়ি জেলার পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের চেয়ারম্যার আব্দুর রব মুনা বিশ্বাস।তার অর্থ্যে উপার্যনের প্রধান কৌশল হলো শালিসের নামে চাঁদাবাজি ও প্রজেক্টের কাজ না করে সেই টাকা আত্বসাৎ করা। বিস্তারিত, পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়ের সাধারণ জনগণের কাছ থেকে শালিসি ব্যবস্থ্যা সঠিক ভাবে করবে বলে ও ভয়ভীতি দেখি চাঁদা আদায় করেন। পাট্টা ইউনিয়ন থেকে এখন পর্যন্ত ৭০/৭২ শালিসি ব্যবস্থার মাধ্যেমে ১০০০০০০০ কোটি টাকারও বেশি হাতিয়ে নিয়েছেন। যার প্রমান পাট্টা ইউনিয়নের নির্যাতিত জনগণ।

আব্দুর রব মুনা বিশ্বাসের বিশাল এক সন্ত্রাস বাহিনি আছে যাদের ভয়ে সাধারণ জনগন চাঁদা দিতে বাধ্যে হয়।চাঁদা না দিলে প্রাণ নাশের হুমকি সহ মারপিঠ করতে একটু দিধা করেন না তিনি। এমন অনেক প্রমাণ আছে যে চাঁদা দিতে না সিকার করলে ইউনিয়ন পরিষদে এনে তাকে তার সন্ত্রাস বাহিনি দিয়ে গণপিটুনি দেয়। আব্দুর রব মুনা বিশ্বাস অবৈধ ভাবে পাট্টা ইউনিয়নের চার জলা/বিলে মাছের চাষ করেন। সাধানর খেটে খাওয়া মানুষ চাইলেও কোনভাবে মাছ মেরে খেতে পারেনা। বিল/জলা থেকে প্রতি বছরে তার আয় আসে ৮০,০০০০০টাকা পর্যন্ত।

সরকারি ভাবে একটা ইউনিয়নে অনেক গুলো প্রজেক্ট পাস হয় কিন্তু আব্দুর রব মুনা বিশ্বাস ইউনিয়নের কোন কাজ করেন না বরং সেই সব প্রযেক্টের টাকা সম্পূন্য তিনি হাতিয়ে নেন। পাট্টা ইউনিয়নে যে সকল বয়স্ক ভাতা, মাতৃত্যকালিন ভাতা সহ যাবতীয় ভাতার কার্ডে তার দূর্নীতির শেষ নেই, যদিওবা কিছু ব্যক্তির কার্ড ঠিক আছে তবে তারা হলেন আব্দুর রব মুনা বিশ্বাসের একান্ত কাছের ব্যক্তি ও আত্বীয়। গত ২০১৯/২০২০ অর্থ বছরে পাট্টা ইউনিয়নে ১০০০০০০০ টাকার প্রজেক্ট ছিলো যার একটাকাও কাজ করে দেখাননি তিনি। পাট্টা ইউনিয়নের চাউলের কার্ডেও থাকে তার বিশাল দূর্নীতি, তার পছন্দের বিশেষ বিশেষ ব্যক্তিদের মাঝে কার্ড বন্টণ করেন। তার এই চাউলের কার্ডে দূর্নীতির কারণে সাধারণ দিনমজুরিরা চরম কষ্টের মাঝে জীবণ যাপন করছেন।

আব্দুর রব মুনা বিশ্বাস পাট্টা ইউনিয়নে এমন হাজারো দূর্নীতি করে গড়েছেন টাকার পাহাড়। তার অর্জিত অবৈধ টাকা দিয়ে গড়েছেন মাঝাইল নদীতে অবৈধ ভাবে হাওয়াই হাউস নামে দুই তলা বিলাস বহুল ভবণ। এখানেই শেষ নয়, আব্দুর রব মুনা বিশ্বাস তাহার শ্বশুর বাড়ি খুলনাতে গড়েছেন তিন তলা বিশিস্ট দুইটা বিলাস বহুল আবাসিক বাস ভবণ। আব্দুর রব মুনা বিশ্বাসের অর্জিত অবৈধ টাকা রেখেছেন তার খুব কাছের ব্যক্তিদের একাউন্টে। এ ছাড়াও তার অপকর্মের শেষ নাই।তিনি অনেক অপকর্মের সাথে জরিত প্রত্যক্ষ ও পরক্ষভাবে।

(একেএ/এসপি/অক্টোবর ২০, ২০২০)