আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : ১শ’ ৬০টি মন্ডপে দূর্গা পুজার প্রস্তুুতি নিয়ে বরিশাল বিভাগের সবচেয়ে বেশি পূজা মন্ডপ তৈরী হয়েছে জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলায়। মন্ডপে মন্ডপে চলছে এখন প্রতিমায় রং তুলির আঁচড়ে সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলার কাজ। করোনা মোকাবেলার কারণে এ বছর পুজা মন্ডপে লোকজন জড়ো না করার ২৬ দফা সিদ্ধান্তে কোথাও নির্মিত হয়নি গেট, তোরণ; করা হয়নি আলোকসজ্জা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন।

উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুনীল কুমার বাড়ৈ ও সাধারণ সম্পাদক বিপুল দাস জানান, এ বছর রাজিহার ইউনিয়নে ৪৮টি, বাকাল ইউনিয়নে ৩৯টি, বাগধা ইউনিয়নে ২৪টি, গৈলা ইউনিয়নে ২৫টি ও রতœপুর ইউনিয়নে ২৪টি পুজা মন্ডপসহ সর্বমোট ১শ ৬০টি মন্ডপে পূজার জন্য প্রতীমা নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। চলছে প্রতিমার গায়ে শেষ সময়ের রং এর কাজ।

পঞ্জিকা মতে, ২২অক্টোবর বৃহস্পতিবার ষষ্ঠী পুজার মধ্য দিয়ে দেবীর নবপত্র কল্পারম্ভ, ওইদিন মন্ডপে মন্ডপে বেঁজে উঠবে ঢাক-ঢোল আর কাঁসরের বাজনার শব্দ। ২৩ অক্টোবর শুক্রবার সপ্তমী পূজা, ২৪ অক্টোবর শনিবার মহাঅষ্টমী পুজা, ২৫ অক্টোবর রবিবার মহানবমী পূজা ও ২৬ অক্টোবর সোমবার দশমী বিহিত পুজা ও দশহরার মধ্য দিয়ে পাঁচ দিন ব্যাপি শারদীয় দূর্গা পুজার সমাপ্তি ঘটবে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মোর্শারফ হোসেন জানান, আগৈলঝাড়ায় প্রতি পুজা মন্ডপের অনুকূলে সরকারি সাহায্য হিসেবে ৫শ কেজি করে জিআর চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। মন্ত্রী আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর’র প্রচেষ্টায় বরাদ্দ পাওয়া গেছে আরও ২৫ মেট্টিক টন চাল। বুধবার পুজা মন্দির কমিটির অনুকুলে ওই চাল পৃথকভাবে ডিও লেটার দেয়া হবে।

থানা অফিসার ইন চার্জ মো. গোলাম সরোয়ার জানিয়েছেন, পুজায় লাইটিং, মাইক, সাউন্ড সিস্টেম, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ব্যতীত নিরাপত্তা ও লোক সমাগম না করতে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ধর্মীয় ভাব গাম্ভির্যের মাধ্যমে পুজা অর্চণা করার জন্য আয়োজকদের আহ্বান জানানো হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মন্ডপগুলোর সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।

(টিবি/এসপি/অক্টোবর ২০, ২০২০)