সুপ্রিয় শর্মা জীবনের কবিতা


সমুদ্রের অতল হতে, সহসা জেগে ওঠা
জলোচ্ছ্বাস দানবের বেগে, আকাশ মাটি কম্পনে
অস্থির করে দেয়।
আপন ভূবন কিছুক্ষণ, কবি তোমার আগমন কেন এমন?
আবার মুহুর্তেই নিস্থবদ্ধতা , কুয়াশায় ঢেকে যায় আপন স্বত্তা।
মহা প্রলয়ের তান্ডবেও , বিচলিত হয়না তোমার শরীর মগজ।
নিশ্চল দন্ডায় পাহাড় দেশে
পরিতৃপ্তির নিদ্রাসন।

কবি, তোমার আগমন কেন এমন?
তোমার কি নেই কান্নার অশ্রু?
নেই কি তোমার সহমর্মিতার মন !
যে, তোমার প্রতীক্ষার ব্রতী
আঁখি জলে দৃষ্টি এনে,
হৃদয়ে মন্দিরে আশার প্রদীপ জেলে
চেয়ে থাকে দূরে বহু দূরে।
তোমার কি নেই হারাবার ভয় আপন জন?
সব আছে, আবার কিছু থাকতে নেই
কবি’র জীবদ্দশায়!

কারণ কবি তোমার জন্য না
কবি কারো না, কবি সবার
কবি দেশ মাটি মানুষের
এমনিক ক্ষুদ্র পিপিলিকার।
কবি, ‘তুমি মিছে মিছি’
মনি মুক্তার অন্বেষণে ব্যাতিব্যস্ত
বড় বড় বাক্য মালা উপহার দিচ্ছ
আর আঁকছ কাগজ কলমে আনমনে,
কতযুগ পূর্বে কবি কাল
কবি সাধ মিটে গেছে মানব মনে
সে হিসাব তুমি রাখনা
রাতদিন মস্তক গলাচ্ছ
দেশ থেকে দেশ শহরে পাড়ায়
অলি গলি ঘুরছ
যৌবন ক্লান্তির অবসান
কাঁধে চরানো ঝুঁলি লিক-লিকে
দুলছে কোমরের কাছে
ভুড়ি ভর্তি আছে কিছু?

পরছে যৌবন বাড়ছে ওজন
বড় বড় ব্যাধির হচ্ছে প্রজনন,
আপন ঘরের ভিতর।
তুমি তোমার মত করেই
গিয়েছ খেলে চিরকাল,
সময় হল না আমার, রাখলে অনাদর
হিসাব হীন কতদিন, রাত্র প্রহর
ছিন্ন বাহু বন্ধন।
কবি তোমার আগমন কেন এমন?