শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর : ধানের জেলা দিনাজপুরে শীতকালীন আগাম সবজি চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অনেক স্থানে গড়ে উঠেছে সবজী পল্লী। অনুকুল আবহাওয়া ও অধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করায় এবার এ শীতকালীন আগাম সবজী ভালো ফলন পাচ্ছে কৃষক। এ সবজী চাষ করে ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেছে অসংখ্য কৃষকের। 

দিনাজপুরের বিস্তৃর্ণ এলাকা জুড়ে এখন সবুজ সবজির সমারোহ। শীতকালীন আগাম সবজীর পরিচর্যায় নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। বীরগঞ্জ উপজেলার মরিচাগ্রামের তৃষক জয়নাল আবেদিন জানালেন, তিনি এবার আড়াই বিঘা জমিতে আগাম জাতের ফুলকপি আবাদ করেছেন। ইতোমধ্যে ৭০ হাজার টাকার ফুলকপি বিক্রি করেছেন তিনি।
একই কথা জানালেন, বোচাগঞ্জ উপজেলার ঈশানিয়া এলাকার কৃষক রবিউল ইসলাম।

তিনি জানান, তিনি বাঁধাকপি, মুলা ও লাল শাক আবাদ করেছেন। ক্ষেত থেকে পাইকার এতে তার এসব সবজি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

সরজমিনে জেলার বেশকিছু এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিস্তৃর্ণ এলাকা জুড়ে পালন শাক, মুলা, বেগুন, লালা শাক, ফুলকপি, বাঁধা কপি, কলমি শাক, ঢেড়ষ, পুইশাক, বরবটি, করলা, শশা, লাউ, চিচিংগা, আবাদ করছে কৃষক। সল্প ও মধ্য মেয়াদী এসব শাক সবজি বাজারে চাহিদা পুরোনের পাশাপাশি বাজার দর ভালো পাওয়ায় আর্থিক লাভবান হচ্ছেন তারা। সবজি চাষ করে তারা প্রতি বিঘা জমি থেকে লাভ করছেন ৭০ হাজার থেকে থেকে এক লাখ টাকা।

দিনাজপুর জেলার ১৩ টি উপজেলায় এবার ২২ হাজার এক’’শ ৫২ হেক্টর জমিতে সবজী চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও চাষ হয়েছে আরো বেশী জমিতে। এর মধ্যে শীতকালীন আগাম সব্জি চাষ হয়েছে ১১ হাজার হেক্টও জমিতে।

তবে, বিরামপুর, ঘোড়াঘাট, হাকিমপুর, বীরগঞ্জ, বিরল,সদর ও বোচাগঞ্জ উপজেলায় এবার শীতকালীন আগাম সবজীর বাম্পার ফলন হয়েছে। দাম ভালো পাওয়ায় কৃষক ক্ষেতেই বিক্রি করছেন সবজী। বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারেরা এসে কিন নিয়ে যাচ্ছেন এসব সবজী। জমিতে এ ধরণের সল্প মেয়াদী শাক সবজি আবাদ কৃষকদের আর্থিক ভাবে সাবলম্বী করবে বলে জানান কৃষি কর্মকর্তারা।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. তৌহিদুল ইকবাল জানালেন,লাভ জনক ফসল হওয়ায় শীতকালীন আগাম এ সবজী চাষে কৃষকদের সহযোগিতা ও পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।

সবজি চাষের এলাকাগুলো ঘুরে দেখা গেছে, শীতকালীন আগাম সবজি চাষ করে ব্যাপক লাভবান হচ্ছেন,কৃষক। এ সব্জি চাষ করে ঘুরছে,অনেক র্কসকের ভাগ্যেও চাকা। সংশ্লিষ্ট বিভাগের সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে এবং এ শীলকালীন সব্জির ন্যায্যমূল্য পেলে এ অঞ্চলে শীতকালীস সব্জি চাষাাদ আরো বেড়ে যাবে এমনটাই মন্তব্য করছেন কৃষিবিদরা।

(এস/এসপি/অক্টোবর ২১, ২০২০)