রাজবাড়ী প্রতিনিধি : রাজবাড়ি জেলার পাংশা উপজেলার, কুখ্যাত, অস্ত্রধারী সন্ত্রাস, ক্যাডার বাহিনির প্রধান, দূর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ, ঠকবাজ, শালিসবাজ, জুলুমবাজ, দখলবাজ, অসহায় মিসকিনদের ত্রানের চাউল ও অর্থ আত্নসাতকারি রাজবাড়ি দুই আসনের (পাংশা, বালিয়াকান্দি, কালুখালির ক্ষমতাধর জিল্লুল হাকিমের পোষ্য পুত্র, আশ্রিত, আশির্বাদ পুষ্ট,সকল ধরনের অপকর্মের সমর্থন পুষ্ট  আওয়ামিলীগ সভাপতি ও চেয়ারম্যান আব্দুর রব মুনা বিশ্বাস। 

সরেজমিনে তদন্ত করলে তার সঠিক প্রমাণ পাওয়া যাবে।আওয়ামীলীগ সরকার ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালে ইউনিয়ন নির্বাচনে আব্দুর রব মুনা বিশ্বাসের ভরাডুবির পর তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় ও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। এমপি জিল্লুল হাকিমের অন্যায় সমর্থনে মুনা বিশ্বাস বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম, সন্ত্রাসি, চাঁদাবাজি আরাম্ভ করেন।এমপি জিল্লুল হাকিম কারো সমর্থন না নিয়েই মুনা বিশ্বাসকে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি নির্বাচিত করেন।তখন থেকে তিনি বেপরোয়া হয়ে উঠেন। প্রথমে জিল্লুল হাকিমর ডি ও লেটার নিয়ে স্থানিয় বয়রাট ফাজিল মাদ্রাসার কমিটির সভাপতি পদ দখল করেন, তার পরেই আরাম্ভ হয় তার রমরামা নিয়োগ বাণিজ্য ব্যবসা সহ মাদ্রাসার গাছ,ইট,রড,ঘর ইত্যাদির দূর্নীতি।

তার এই দূর্নীতির বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে পারেনা বললেই বিভিন্ন ভাবে হত্যা করার হুমকি দেন। বর্তমানে তার এই দূর্নীতের জন্য সভাপতি পদ থেকে অব্যহতি দিয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রাজবাড়িকে সভাপতি নির্বাচিত করা হলেও তার ক্ষমতা বলে অপকর্ম ও দূর্নীতি বন্ধ হয়নি আজও। তার দায়িত্ব পালন করা কালিন, রোজিনা খাতুন সহ-মৌলবী, শাহানাজ বেগম ইবতেদায়ী প্রধান, মাহমুদা সুলতানা ইংরেজি শিক্ষক। শামসুল হুদা আরবী প্রভাষক। তাদের থেকে আদায়কৃত টাকার সঠি তথ্য এখনো জানা যায়নি।আহসান হাবিব সহকারি গন্থগারিক ৬,৫০,০০০/= এস এম কাউসার উপাধ্যক্ষ ৪,০০০০০ টাকা তাকে আরবী প্রভাষক থেকে পদোন্নতি দিয়ে পদ শূন্য করে সেই পদে মোঃ আব্দুল হালিমকে ১১,০০০০০ টাকায় নিয়োগ দিয়ে ডাবল বানিজ্য করেন।

মাসুদ রানা সহকারি শিক্ষক (কৃষি শিক্ষা) ৮,০০০০০/= টাকা।শামসুল ইসলাম (নয়ন) সহকারি শিক্ষক (কম্পিউটার) ৪,০০০০০টাকা। এই পদে চাকরি করতেন মোঃ আবু সায়েম এম এ (ইংরাজি) যিনি ছিলেন একজন যোগ্য শিক্ষক। কম্পিউটার বিষয়ে মাস্টার ট্রেইনার ছিলেন। আব্দুর রব মুনা বিশ্বাস অপকৌশলে আবু সায়েমকে অপমান করে বাদদিয়ে দিয়ে সেই জায়গায় নয়নকে নিয়োগ দেন।

আব্দুর রব মুনা বিশ্বাসের সহোদর ছোট ভাই ডাবলু বিশ্বাসের স্ত্রী আফিয়া সুলতানাকে ইবতেদায়ি জুনিয়র শিক্ষক পদে চাকরি দিয়েছেন।যে পদের জন্য উচ্চ মাধ্যমিক পাশ দ্বিতীয় বিভাগ প্রাপ্ত হতে হবে। কিন্তু আফিয়া সুলতানা মাদ্রাসা থেকে আলিম পাশ তৃতীয় বিভাগ প্রাপ্ত। এছাড়াও আব্দুর রব মুনা বিশ্বাসের অপকর্মের শেষ নেই।

(একেএ/এসপি/অক্টোবর ২২, ২০২০)