শেখ আহসানুল করিম, বাগেরহাট : দেশে করোনা পরিস্থিতির কারনে বাগেরহাট সদর উপজেলার হাকিমপুর গ্রামের শিকদার বাড়ীর মন্ডপে এবার হচ্ছেনা এশিয়া মহাদেশের সব্বোর্চ সংখ্যক প্রতিমার দূর্গাপূজার। গত বছরও শিকদার বাড়ীর এই মন্ডপে সনাতন হিন্দু ধর্মের ৮০১ টি দেবদেবীর প্রতিমা তৈরী করে জাঁকজামকপূর্ণ ভাবে পালন করা হয় দূর্গাপূজা। এবার দেশে করোনা পরিস্থিতির কারনে এই মন্ডপে শুধু মাত্র ‘ঘটপুজা’র মধ্যদিয়ে দূর্গা পূজার ধর্মীয় আচার-আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হচ্ছে।

বিগত ২০১১ সালে বাগেরহাট সদর উপজেলার হাকিমপুর গ্রামে বিশিষ্ট ব্যবসায়ি লিটন শিকদারের ব্যক্তি উদ্যোগে তার বাড়ীর মন্ডপে দেবদেবীর ২৫১ টি প্রতিমা দিয়ে বড় আকারে দূর্গাপূজার আয়োজন করা হয়। এরপর প্রতি বছরই এই মন্ডপে দেবদেবীর প্রতিমার সংখ্যা বেড়ে গত বছর ৮০১ টিতে গিয়ে দাড়ায়। দেবদেবীর সংখ্যার দিক দিয়ে এই মন্ডপটি এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহত দূর্গা মন্ডপ হিসেবে পরিচিতি পেয়ে যায়। প্রতি বছর দেশ-বিদেশের সনাতন হিন্দু ধর্মালম্বি থেকে শুরু করে হাজার-হাজার মানুষের পদচারনায় এই দূর্গা মন্ডপটি তীর্থস্থানে পরিনত হয়।

বাগেরহাটের শিকদার বাড়ীর মন্ডপের দেবদেবীর প্রতিমার সংখ্যাধিকের খ্যাতি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে দেশের মন্ত্রী-এমপি থেকে শুরু করে ভারতের কূটনীতিকরাও দূর্গাপূজার সময় ছুটে আসতেন বাগেরহাটের এই দূর্ঘাপূজা মন্ডপে। এবছর ৮৫১টি প্রতিমা দিয়ে এখানে দূর্গাপূজা আয়োজনের কথা থাকলেও দেশে করোনা পরিস্থিতি সবকিছু ওলাটপালট করে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে দূর্গোৎসবে এই মন্ডপে দেখা যায়নি চীরচেনা সেই জনসমাগমের দৃশ্য। এখন দূর্গাপূজার এই মন্ডপে শুনসান নিরাবত।

এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহত দূর্গাপূজা মন্ডপের আয়োজক বিশিষ্ট ব্যবসায়ি লিটন শিকদার জানান, আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু সনাতন হিন্দু ধর্মের সবচেয়ে বড় ধর্মী উৎসব দুর্গাপূজা। দেশে করোনা পরিস্থিতির কারনে তাদের বাড়ীর মন্ডপে এবার দুর্গোৎসবে বড় কোনো আয়োজন থাকছে না। করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে বড় আকারে দূর্গাপুজা আয়োজন সম্ভব না হওযায় সাদামাটা হবে এ বছর শুধু মাত্র ‘ঘট পুজা’র মধ্যদিয়ে পারিবারিক ভাবে দূর্গাপূজার ধর্মীয় আচার-আনুষ্ঠানিকতা করা হচ্ছে। এবছর দূর্গাপূজায় সময় কাউকে তাদের বাড়ীতে অহেতুক ভীড় না করার অনুরোধ জানান তিনি।

(এসএকে/এসপি/অক্টোবর ২২, ২০২০)