আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নেপালে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কেন্দ্রে চলে এসেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। কিছু দিন আগে তিনি চীন প্রীতির জন্য নিজ দলের বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েন। এবার ভারতের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান সামন্ত কুমার গোয়েলের সঙ্গে গোপন বৈঠকের খবর প্রকাশের পর রাজনৈতিক মহলে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে।

নেপালের কমিউনিস্ট পার্টিতে ওলি বিরোধী পুষ্পকমল দাহাল প্রচণ্ডের দাবি, দলের বাকি নেতাদের না জানিয়ে এমন বৈঠক করে ঠিক কাজ করেননি কেপি শর্মা ওলি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বুধবার ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ প্রধান কয়েকজনকে নিয়ে বিশেষ বিমানে দিল্লি থেকে কাঠমান্ডু যান। এই সফরের উদ্দেশ্য ছিল, নেপালের প্রধানমন্ত্রী ওলির সঙ্গে সাক্ষাৎ করা। তবে শুধু ওলি নন, নেপালের বিরোধী দলের প্রধান শের বাহাদুর দৌবার সঙ্গেও সামন্ত গোয়েল দেখা করেন বলে জানা গেছে।

নেপালে একের পর এক প্রকল্প চালু করেছে চীন। তার হাত ধরে দেশটিতে অনেক টাকার বিনিয়োগ করে বেইজিং। সেই সূত্র ধরে ওলির শাসনকালে চীনের প্রতি নেপালের আনুগত্য বাড়তে থাকে। এ পরিস্থিতিতে নেপালে চীনের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ক্রমাগত কাঠমাণ্ডুকে বেইজিংয়ের দিকে ঝুঁকিয়ে দিতে থাকেন।

এমন সময় নেপালের কমিউনিস্ট পার্টিতে ক্রমাগত কোণঠাসা হন ওলি। এমনকি তাকে গদিচ্যুত করার পরিকল্পনাও তৈরি হয়ে যায় কমিউনিস্ট পার্টিতে। এ পরিস্থিতিতে ভারতের গোয়েন্দা প্রধানের সঙ্গে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক ঘিরে এশিয়ার কূটনীতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়।

আগামী মাসে নেপালে সফরে যাবেন ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল মুকুন্দ নারাভানে। তার সফরের আগে নেপালের মন্ত্রিসভায় নারাভানে বিরোধী মন্ত্রীকে কার্যত পদ থেক সরিয়ে দেন ওলি। আর নেপালের এই পদক্ষেপ ফের দিল্লি ও কাঠমাণ্ডুকে কাছাকাছি আনছে।

ভারত-নেপাল সম্পর্কের গতিবিধি নিয়ে দুই ব্যক্তির মধ্যে কথা হয়েছে বলে জানা গেছে। যেখানে দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত সংঘাতের সমস্যা রয়েছে সেখানে এই বৈঠককে ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ বলে ভারত ও নেপাল দাবি করলেও ২ ঘণ্টার বৈঠকে ভারত যে বড়সড় কূটনৈতিক চাল দিয়েছে সে ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

(ওএস/এসপি/অক্টোবর ২৩, ২০২০)