স্টাফ রিপোর্টার : প্রয়াত ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের সামাজিক পরিচয় ছিল আইনের প্রাজ্ঞ বিচারক হিসেবে। একজন মানবতাবাদী আইনজীবী হিসেবেও তার বিশেষ খ্যাতি ছিল। এছাড়া বাংলাদেশের অন্যতম বিখ্যাত মানুষও তিনি। তবু সবকিছু ছাপিয়ে তার মানবিক ও সেবা-মনোভাবের অসামান্য গুণটি সামনে চলে আসে। তিনি তার জীবনের আয়ের সিংহভাগ ব্যয় করেছেন মানুষের কল্যাণে। তার কাজ ও ভাবনায় একটি সমৃদ্ধ ও স্নিগ্ধ রুচির ছাপ পাওয়া যায়।

ব্যারিস্টার রফিক-উল হক জীবনের উপার্জিত অর্থের প্রায় সবই ব্যয় করেছেন সমাজসেবায়। যেখানে সুযোগ পেয়েছেন সেখানেই হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন মানবতার সেবায়। বলতে গেলে তেমন টাকাপয়সা রাখেননি ব্যাংকে। তার জীবনের বড় ইচ্ছাই মানুষের সেবা করা; সেই লক্ষ্য থেকেই প্রতিষ্ঠা করেছেন বেশ কয়েকটি হাসপাতাল, এতিমখানা, মসজিদ ও মেডিকেল কলেজ।

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে একটি ১০০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণ করছেন। এছাড়া ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠা করেছেন সুবর্ণ ক্লিনিক; ঢাকা শিশু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায়ও ভূমিকা রাখেন তিনি। বারডেম হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ ও নূরজাহান ওয়ার্ড, আহছানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতালের চেয়ারম্যান, আদ-দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান রফিক-উল হক।

আদ-দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ ২৫টিরও বেশি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তিনি সরাসরি জড়িত। বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানে আর্থিক অনুদানসহ নানা সহযোগিতা দিয়ে গেছেন।

উল্লেখ্য, শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর আদ-দ্বীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ এ আইনজীবী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।

(ওএস/এসপি/অক্টোবর ২৪, ২০২০)