নিউজ ডেস্ক : বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির রায়ের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বরগুনা শিশু আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল।

মঙ্গলবার (২৭ অক্টবর) দুপুর আড়াইটার দিকে রিফাত হত্যার রায় ঘোষণার পর সন্তুষ্টির কথা জানিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। তাই এমন রায় প্রমাণ করে অপরাধী যেই হোক কোনো ছাড় নেই। মিডিয়ার মাধ্যমে পুরো দুনিয়া জানতে পেরেছে এ ঘটনা। আসামি যেই হোক কেউই যে অপরাধ করে পার পাবে না সেটা আবারও এই রায়ের মাধ্যমে প্রমাণ হলো।

তিনি আরও বলেন, মাত্র ৬৩ কার্য দিবসে এ মামলার বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। মূলত সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ন্যায় বিচারের একটি অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে এবং তা হয়েছে দ্রুততম সময়ের মধ্যে করা হয়েছে।

অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, তারা রায়ে সন্তুষ্ট নন। দ্রুত রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে যাবেন এবং আপিল আবেদন করবেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী গোলাম মোস্তফা কাদের বলেন, আমার মক্কেল ন্যায়বিচার পাননি। তাই আমরা সাত কার্যদিবসের মধ্যেই হাইকোর্টে আপিল করবো।

রিফাত হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির রায়ে ছয়জনের ১০ বছরের কারাদণ্ড, চারজনের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং একজনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া এ মামলার অপর তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।

রায়ে ১০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- মো. রাশিদুল হাসান রিশান ফরাজী, মো. রাকিবুল হাসান রিফাত হাওলাদার, মো. আবু আব্দুল্লাহ রায়হান, মো. ওলিউল্লাহ অলি, মো. নাঈম এবং তানভীর হোসেন।

এছাড়াও জয়চন্দ্র সরকার চন্দন, মো. নাজমুল হাসান, রাকিবুল হাসান নিয়ামত ও সাইয়েদ মারুফ বিল্লাহ ওরফে মহিব্বুলাহকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। আর প্রিন্স মোল্লাকে দেয়া হয়েছে তিন বছরের কারাদণ্ড।

অপরদিকে মামলার অপর তিন আসামি মারুফ মল্লিক, রাতুল সিকদার জয় ও আরিয়ান হোসেন শ্রাবণকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে।

(ওএস/এসপি/অক্টোবর ২৭, ২০২০)