নোয়াখালী প্রতিনিধি : সুবর্ণচরে মসজিদ কমিটির শালিশকে কেন্দ্র করে শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন উনুষ্ঠিত হয়েছে।

নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চরজব্বর ইউনিয়নের গোলাপ আলী সর্দার জামে মসজিদের কমিটির শালিশ শেষ করে ফেরার পথে উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে এতে উভয় পক্ষের প্রায় ৯ জন আহত হয়।

গতকাল (২৭ অক্টোবর) মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বার ইউনিয়নের চরজব্বার গ্রামের পরিস্কার রাস্তার মাথা নামক স্থানে।

আহতরা হলেন, চরজব্বার ডিগ্রী কলেজ প্রভাষক আনোয়ার, একই এলাকার হামিদ উল্যাহ, রফিক উল্যাহ, আব্দুল কাদের, শামছু উদ্দিন মসজিদের মোতাওল্লী মোঃ হানিফ, তার ছেলে রাশেদ ও আবদুল মন্নানসহ ৯ জন আহত হয়।

গুরুতর অবস্থায় তিনজনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল এবং বাকিরা সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্ব্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা চিকিৎসা নেন।

শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে (২৮ অক্টোবর বুধবার) বেলা ১১ টায় চরজব্বার ডিগ্রি কলেজ প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।

মানববন্ধনে বক্তারা শিক্ষক আনোয়ারের ওপর হামলাকারিদেরকে আইনের আওতায় আনার অনুরোধ করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মসজিদ কমিটির বিরোধকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার বিকেলে সুবর্ণচর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বাহার চৌধুরীর নের্তৃত্বে দুই পক্ষকে নিয়ে মসজিদ মাঠে একটি শালিশী বৈঠক বসে, বৈঠক শেষে বাড়িতে যাওয়ার পথে পথিমধ্যে দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে চর জব্বর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সুবর্ণচর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বাহার চৌধুরী জানান, শালিশে কোন সমস্যা হয়নি। বাহিরে যাওয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চর জব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সাহেদ উদ্দিন বলেন, এমন একটি ঘটনার কথা শুনেছি, এবিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(এস/এসপি/অক্টোবর ২৮, ২০২০)