স্টাফ রিপোর্টার : বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব দিবস উদযাপিত হবে আগামী রবিবার (১ নভেম্বর)। এ দিবসে সফল ২৬ যুবককে জাতীয় যুব পুরস্কার দেয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে বঙ্গবন্ধু যুব দিবস উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে এবার ১ নভেম্বর জাতীয় যুব দিবসের নামকরণ করা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব দিবস, ২০২০’। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে যুবসমাজের সৃজনশীলতা, আত্মপ্রত্যয় ও তাদের কর্মস্পৃহার প্রতি আস্থা রেখে মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে—মুজিববর্ষের আহ্বান, যুব কর্মসংস্থান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, রবিবার সকাল ১০টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষিত সফল যুবক ও যুব নারীদের মধ্য থেকে আত্মকর্মসংস্থান প্রকল্প স্থাপনে দৃষ্টান্তমূলক অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে ২১ জনকে জাতীয় যুব পুরস্কার দেয়া হবে।’

এছাড়া যুব দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট ও খাম উন্মোচন করা হবে। দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়িত হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

‘বর্তমান সরকারের যুগোপযোগী দিকনির্দেশনার আলোকে চলমান প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ ট্রেডের পাশাপাশি প্রতিনিয়ত নতুন ট্রেড প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করে যুবদের দেশে ও বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে যুব উন্নয়ন অধিদফতর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে গত ৩০ জুন পর্যন্ত ৩০ লাখ ২৯ হাজার ৬২৯ জনকে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।

এ সময়ে সাত লাখ ২৮ হাজার ৭০৫ জন কর্মসংস্থানের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হয়েছে বলে জানান জাহিদ আহসান রাসেল।

তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ৩৭টি জেলার ১২৮টি উপজেলায় ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচির আওতায় মোট দুই লাখ ৩০ হাজার ৪৬৪ জনকে প্রশিক্ষণ এবং দুই লাখ ২৮ হাজার ১২৯ জনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে ১০ জেলার ১০ উপজেলায় অষ্টম পর্বের কার্যক্রম শুরু হবে।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে দুই লাখ প্রশিক্ষিত যুবকের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ঋণ বিতরণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যুব উন্নয়ন অধিদফতর ও কর্মসংস্থান ব্যাংকের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আওতায় কর্মসংস্থান ব্যাংক নীতিমালা অনুযায়ী যুব উন্নয়ন অধিদফতরের সরবরাহ করা প্রশিক্ষিত যুবকদের তালিকা অনুযায়ী প্রকল্পের গ্রহণযোগ্যতা সাপেক্ষে উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঋণ দেয়া হবে। এ ঋণের পরিমাণ হবে ২০ হাজার থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত। ঋণ পরিশোধের মেয়াদ সর্বোচ্চ পাঁচ বছর।

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা সংক্রমণের প্রভাবে কিংবা সরকারের ঘরে ফেরা কর্মসূচির আওতায় যারা গ্রামে ফিরে গিয়ে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন বা পড়বেন, তাদের জন্য গ্রামীণ কর্মসংস্থান বা আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে যুব উন্নয়ন অধিদফতরের প্রস্তাবিত ‘করোনাত্তোর পরিস্থিতিতে যুবকদের জন্য গ্রামে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ প্রকল্প’ অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়। এ প্রকল্পের আওতায় পাঁচ বছরে ১২ লাখ পাঁচ হাজার জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান এবং ৫০ শতাংশকে এক লাখ টাকা হারে ঋণ দেয়া হবে। এ ঋণের সার্ভিস চার্জ হবে ৪ শতাংশ।

সংবাদ সম্মেলনে যুব ও ক্রীড়া সচিব মো. আখতার হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

(ওএস/এসপি/অক্টোবর ২৯, ২০২০)