স্টাফ রিপোর্টার : লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বুড়িমারী স্থলবন্দর কেন্দ্রীয় মসজিদে কোরআন শরীফ অবমাননার অভিযোগে তুলে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে-পুড়িয়ে মেরে ফেলার ঘটনা মধ্যযুগীয় বর্বরতার কথা মনে করিয়ে দেয় বলে জানিয়ে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)-সিপিবি(এম) এর সাধারণ সম্পাদক কমরেড ডা: এম. এ. সামাদ।

আজ মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর)সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)-সিপিবি(এম) এর উদ্যোগে ধর্মের নামে গুজব ছড়িয়ে লালমনিরহাটের বর্বরোচিতভাবে মানুষ পুড়িয়ে হত্যার দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)’র সাধারণ সম্পাদক কমরেড ডা: এম. এ. সামাদ বলেন, “২০১১ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত গণপিটুনিতে দেশে প্রায় ৮০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যেগুলোর কোনটায় ছেলেধরা বা ডাকাত সন্দেহে, আবার কোন কোন ঘটনায় সামান্য চোর সন্দেহেও পিটিয়ে মেরে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। গুজব ছড়িয়ে নিরপরাধ মানুষকে মধ্যযুগীয় বর্বরতায় পিটিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে। লাশের উপর মানুষকে উল্লাহ করতে দেখা যাচ্ছে। দেশের সাধারণ মানুষের এমন হিংস্র হয়ে ওঠা কোন ভাবেই কাম্য নয়। এখনই এ ব্যাপারে সরকারকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।”

তিনি বলেন, “যারা লালমনিরহাটের জুয়েলকে হত্যা করে পুড়িয়ে দিয়েছেন তারা হয়তো ভাবেননি মৃত্যুর পর জুয়েলের স্ত্রী-দুই সন্তানের কি হবে? ধর্ম মানুষের বিশ্বাসের জায়গা। মানুষের আস্থায় জায়গা। ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে কাউকে এভাবে মেরে ফেলা ধর্মরক্ষার হাতিয়ার হতে পারে না। আমরা সরকারের কাছে এ ঘটনার পুর্নাঙ্গ তদন্ত চাই। কেন, কি কারণে কারা তাকে হত্যার করল? জাতির কাছে তার পরিস্কার করতে হবে। জড়িতদের আইনের মুখোমুখি করতে হবে। আমরা আর একটিও অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যু দেখতে চাই না।”

বিক্ষোভ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সামছুল আলম, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড বিজ্ঞানী সামছুল হক সরকার, কমরেড বায়েজিদ, কমরেড আলাউদ্দিন, কমরেড বিধান দাস, কমরেড মোস্তফা আল খালিদ, কমরেড রকিবুল ইসলাম সহ পার্টির বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।

(বিজ্ঞপ্তি/এসপি/অক্টোবর ৩০, ২০২০)