স্পোর্টস ডেস্ক : আজ (শনিবার) রাতে ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের ম্যাচে নঁতের মাঠে খেলতে নামবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। ১৬ দিনের মধ্যে এটি তাদের পঞ্চম ম্যাচ। এমন ব্যস্ত সূচির মধ্যে বারবার ম্যাচ খেলার মাধ্যমে ফুটবলারদের মেরেই ফেলা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পিএসজি কোচ থমাস টুখেল।

নঁতের বিপক্ষে ম্যাচের পর আন্তর্জাতিক সূচির বিরতিতে যাওয়ার আগে আরও দুইটি ম্যাচ খেলবে পিএসজি। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ লেইপজিগ ও রেনে। পরে আন্তর্জাতিক বিরতি শেষে ফিরে নভেম্বরের ২০ তারিখ থেকে বছর শেষ হওয়া পর্যন্ত আরও ১০টি ম্যাচ খেলতে হবে ফ্রেঞ্চ চ্যাম্পিয়নদের।

এমন ব্যস্ত সূচি প্রণয়নকারীদের রীতিমতো ধুয়ে দিয়েছেন পিএসজি কোচ। গত বুধবার (২৮ অক্টোবর) ইস্তানবুল বাসাকসেহিরের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে ইনজুরিতে পড়েছেন পিএসজির তারকা খেলোয়াড় নেইমার। টানা খেলার মধ্যে থাকা বিশ্রামের সুযোগ পাওয়া যায় না বলেই এমনটা হয় বলে মনে করেন টুখেল।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা খেলোয়াড়দের মেরে ফেলতে চলেছি। আমি এটা সবসময়ই বলি। আমরা তাদের মেরে ফেলতে চলেছি এভাবে যে, প্রস্তুতি-পারফরম্যান্স-রেস্ট; এ তিনটি বিষয় একে অপরের পরিপূরক। যেটা এখন ব্যস্ত সূচিতে পাওয়াই যায় না।’

টুখেল আরও যোগ করেন, ‘ফুটবলে সেরা খেলোয়াড়দের ওপর এই চাপটা বেশি পড়ে। কারণ তাদের সবসময়ই নিজ দেশের ম্যাচগুলো খেলে থাকে। এমনকি বিরতির সময়ও তারা লম্বা ভ্রমণ করে এবং ম্যাচ খেলে। যা আমার মতে, একটু বেশি বেশি। তারা রিকভারির জন্য নিজেদের সময় দেয় না। যে কারণে পরে প্রস্তুতিটাও নেয়া যায় না।’

‘এটা কোনো গোপনীয় কিছু নয়। খেলাধুলায় প্রস্তুতিটা বড় একটা বিষয়। এটা ইনজুরি এবং পারফরম্যান্সকে নিয়ন্ত্রণ করে। প্রস্তুতি ছাড়া খেলোয়াড়রা আরও বেশি ভঙ্গুর হয়ে পড়ে, যে কারণে তাদের ঠিকভাবে সামাল দেয়া যায়। এটা কোনো অজুহাত নয়, বাস্তবতা। তবু আমরা সমাধান খোঁজার চেষ্টা করব। আশা করি পেয়েও যাব।’

চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচ খেলে বৃহস্পতিবার ফ্রান্সে ফিরেছে পিএসজি। মাঝে শুধু ছিল শুক্রবার। এখন আবার আজই তাদের নামতে হচ্ছে নতুন ম্যাচে, নতুন চ্যালেঞ্জ মাথায় নিয়ে। এটি যেকোনো দলের জন্যই কঠিন বলে মন্তব্য করেছেন টুখেল। কেননা শেষ ম্যাচটির পর কোনোকিছু করারই সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে না।

পিএসজি কোচের ভাষ্য, ‘আমরা তুরস্ক থেকে ফিরলাম, মাঝে একদিন গেলো আবার এখন মাঠে নামতে হচ্ছে। অথচ এদিনই ইনজুরির ভয় সবচেয়ে বেশি থাকে। যা বুঝিয়ে দেয় যে আমর অনর্থক কাজটা করছি। রিকভারির জন্য কোনো সময় তো পাচ্ছিই না, উল্টো নতুন ম্যাচের জন্য মাঠে নামতে হচ্ছে। যে কারণে প্রতি ম্যাচেই একজন করে খেলোয়াড় ইনজুরিতে পড়ছে।’

(ওএস/এসপি/অক্টোবর ৩০, ২০২০)