রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : প্রেমিকার পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ের আপত্তি করায় চন্দ্র শেখর নামের এক সেনা সদস্য গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার দিবাগত রাত দু'টোর দিকে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মাগুরা গ্রামে নিজ বাড়ির পাশে গ্রামীন সমিতি এসডিএফ ফাউল্ডেশনের ফটকের আড়ার সঙ্গে গলায় গামছা পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। তার বাবার নাম নিমাই সরকার।

মৃতের বোন প্রিয়ঙ্কা সরকার জানান, ২০১৭ সালে সেনাবাহিনীর সদস্য পদে চাকুরি পায় তার ভাই চন্দ্রশেখর সরকার (২১)। ভাই স্থানীয় প্রগতি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করে। বর্তমানে সে কক্সবাজারের রামু কান্টনমেন্টে ইঞ্জিনিয়ারিং কোরে সৈনিক পদে কর্মরত ছিলো।

সম্প্রতি আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের যদুয়ারডাঙি গ্রামের ও গোলায়ালডাঙা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক জগবন্ধু সরকারের মেয়ে ও এসকেআরএইচ দরগাপুর কলেজিয়েট স্কুলের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী অর্পিতা সরকারের সঙ্গে চন্দ্রশেখরের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শারদীয় দুর্গাপুজা উপলক্ষে ভাই গত ২২ অক্টোবর ছুটিতে বাড়ি আসে।

২৫ অক্টোবর ছুটি শেষ হয়ে যায়। বৃহষ্পতিবার রাতে অর্পিতাকে মোবাইলে বিয়ের প্রস্তাব দেয় চন্দ্রশেখর। অর্পিতা তার বড় বোন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অনার্স চুড়ান্ত বর্ষের ছাত্রী ঋতুপর্ণার বিয়ে না দিয়ে তাকে বাবা বিয়ে দেবে না বলে জানায়। এতে হতাশ হয়ে বৃহষ্পতিবার মধ্যরাতে গলায় দড়ি দিয়ে চন্দ্রশেখর আত্মহত্যা করেছে বলে তিনি মনে করেন।

আশাশুনির যদুয়ারডাঙি গ্রামের স্কুল শিক্ষক জগবন্ধু সরকার বলেন, এক বছর আগে তার মেয়ে অর্পিতার সঙ্গে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় তালা উপজেলার মাগুরা গ্রামের সেনা সদস্য চন্দ্রশেখরের। তিন মাস আগে কাদাকাটির এক আত্মীয়ের মাধ্যমে বাড়িতে এসে চন্দ্রশেখরের সঙ্গে অর্পিতার বিয়ের প্রস্তাব দেন। বড় মেয়েকে বিয়ে না দিয়ে ছোট মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজী হননি তিনি। এর বাইরে তিনি কিছু জানেন না।

তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী রাসেল জানান, চন্দ্রশেখরের অঅত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। তবে এ ঘটনায় শনিবার থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশের ময়না তদন্তের জন্য শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

(আরকে/এসপি/অক্টোবর ৩০, ২০২০)