কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি : নিজ বাড়ি থেকে মুখে কাপড় বেঁধে তোলে নিয়ে ষষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে বাড়ির অদূরে হাওড়ের ধান ক্ষেতে ধর্ষণ করা হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে গত ২১ অক্টোবর রাত অনুমান সাড়ে ৭টার দিকে কেন্দুয়া উপজেলার পন কেন্দুয়া গ্রামের জনৈক শাহিন মিয়ার ধান ক্ষেতে। 

প্রভাবশালী ধর্ষকের স্বজন ও গ্রাম্য মাতাব্বরদের চাপের মুখে থানায় এসে মামলা দিতে পারছিলেন না ধর্ষিতা ছাত্রীর দরিদ্র বাবা। তাকে টাকা পয়সার লোভ লালসা ও ভয়ভীতিও দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।

অবশেষে গত ২৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলা নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সহায়তায় থানায় এসে ২ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন ধর্ষিতা ছাত্রীর বাবা। ৩১ অক্টোবর শনিবার দুপুরে পুলিশ প্রহরায় ধর্ষিতা ওই ছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে তার ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।

পুলিশ ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১০ নং কান্দিউড়া ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের মৃত মুগদুম আলীর ছেলে একলাছ মিয়া (২৬) তার খালার বাড়ি পন কেন্দুয়া গ্রামেই বেশি আনাগোনা করত। সময় সুযোগ পেলেই ওই গ্রামের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীকে নানা ভাবে উত্তক্ত করে আসছিল। ছাত্রীটিকে উত্তক্ত করায় সে তার মা বাবাকে প্রায়ই বিষয়টি জানাত। ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকেও একলাছ মিয়ার স্বজনদের অভিযোগ করেও কোন কাজ হয়নি। ঘটনার দিন সন্ধ্যার সাথে সাথে একলাছ তার অপর এক সহযোগী সাইদুর রহমানকে নিয়ে ওই ছাত্রীর বাড়িতে এসে ছাত্রীটিকে ঝাপটে ধরে কৌশলে মুখে কাপড় বেধে বাড়ির অদূরেই ধান ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষন করে।

ধর্ষণ কাজে সহযোগিতা করে, সাইদুর রহমান। এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি হাবিবুল্লাহ খান শনিবার বলেন, ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ২১ অক্টোবর রাত সাড়ে ৭ টার দিকে। কিন্তু আমরা ২৯ অক্টোবর অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই থানায় মামলা দায়ের করেছি। মামলার আসামীদের গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

(এসবি/এসপি/অক্টোবর ৩০, ২০২০)