৩ নভেম্বর, ১৯৭১
মুক্তিবাহিনীর নৌ-কমান্ডোদের পাতা মাইনে একটি তেলবাহী জাহাজ নিমজ্জিত হয়
উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : টোকিওতে পাকিস্তানী দূতাবাসের প্রেস এটাচি এস. এম. এাসুদ ও থার্ড সেক্রেটারী মোহাম্মদ আবদুর রহমান পাকিস্তানের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করেন। সুইজারল্যান্ডে পাকিস্তানের চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্স ওয়াকিলুর রহমান সরকারের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করে বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করেন।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদেও সামরিক তৎপরতা চালানোর কাজে সাহায্য না করা এবং পাকিস্তানের সাথে সকল বিবাদ সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে ফেলার জন্য গণচীন ভারতের প্রতি হুশিয়ারি জানায়।
বিপ্লবী বাংলাদেশ পত্রিকার এক রিপোর্টে বলা হয়- অসম- সাহসী মুক্তিসেনারা ময়মনসিংহের কিশোরগঞ্জ শহর হানাদার মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়া এই মহকুমার পাকুন্দিয়া, হোসেনপুর, কটিয়াদি,অষ্টগ্রাম, করিমগঞ্জ, ইটনা ও নিকলি থানাগুলি পূর্বেই মুক্তিবাহিনীর দখলে এসেছে। কিশোরগঞ্জে কয়েকদিনের সম্মুখযুদ্ধে প্রায় ২০ জন হানাদার সেনা নিহত এবং বহুসংখ্যক আহত হয়েছে।
ক্যাপ্টেন হুদার নির্দেশে লেঃ অলীক গুপ্ত একটি ই.পি.আর. প্লাটুন নিয়ে মাসলিয়ায় নিকটবর্তী হিজলী বি.ও.পি-তে পাকসেনাদেও এ্যামবুশ করলেন। তীব্র গোলাগুলির মুখে পাকসেনাদের দলটি ক্ষতি স্বীকার করে পিছনে সরে যায়। কিন্তু পাকিস্তানীরা কিছুক্ষনের মধ্যে বিপর্যস্ত অবস্থা কাটিয়ে রিয়ার সাপোর্টে লেঃ গুপ্তের উপর ব্যাপকভাবে প্রতি-আক্রমণ চালায়। তরুন অফিসার লেঃ অলীক গুপ্ত অত্যন্ত ধৈর্য্যসহকারে পাকিস্তানীদের মোকাবিলা করেন। মুক্তিবাহিনীর চরম অবস্থার খবর কমান্ডার নাজমুল হুদার নিকট পৌছুলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে দুটি প্লাটুন নিয়ে পাকিস্তানীদের উপর পাল্টা আক্রমণ চালান। এতে পাকিস্তানীরাদিশেহারা হয়ে পড়ে। প্রচুর অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং ১২ জনের মৃতদেহ ফেলে পালিয়ে অবশিষ্টরা কোনোরকমে জীবন বাঁচায়।
চট্টগ্রাম বন্দরে মুক্তিবাহিনীর নৌ-কমান্ডোদের পাতা মাইনে একটি তেলবাহী জাহাজ নিমজ্জিত হয়। বিস্ফোরণে জাহাজের ৮ জন নাবিক প্রাণ হারায়।
তথ্যসূত্রঃ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
(ওএস/এএস/পিএস/নভেম্বর ৩, ২০২০)