নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি : জননিরাপত্তার স্বার্থে অবশেষে প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের মাধ্যমে দখল মুক্ত করা হয়েছে টাঙ্গাইলের নাগরপুরের ঐতিহ্যবাহী চৌধুরিবাড়িখ্যাত নাগরপুর জমিদার বাড়ী।

সোমবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরের পর থেকে দখলমুক্ত করার কার্যক্রম পরিচালনা করেন টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সিনিয়র কমিশনার উপমা ফারিসা ও নাগরপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) তারিন মসরুর।

এসময় নাগরপুর মহিলা কলেজের ৮টি ও নাগরপুর শহীদ সামছুল হক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দখলে থাকা ১টি ভবন উদ্ধার করা হয়। এ সকল ভবনে স্কুল ও কলেজের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাদের পরিবার সহ দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছিল। জমিদার বাড়ির মূল ভবনে মহিলা কলেজের কার্যক্রম চললেও এর অন্যান্য ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় জননিরাপত্তার স্বার্থেই এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের পরিচালক জমিদার বাড়ির ভবন গুলো পরিদর্শন করেন এবং জনজীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ন হওয়ায় ৫ নভেম্বর জেলা প্রশাসনকে অবহিত করেন। পরে জেলা প্রশাসন এর নির্দেশে উপজেলা নিবার্হী অফিসার সিফাত-ই-জাহান নাগরপুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ও শহীদ সামছুল হক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কে ভবন খালি করে দেওয়ার জন্য নোটিশ প্রদান করেন। নাগরপুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ও শহীদ সামছুল হক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিকট সময় চান। পরবর্তীতে উপজেলা নিবার্হী অফিসার ১৬ নভেম্বর পূনরায় নোটিশ প্রদান করেন।

সোমবার বিকেলে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপমা ফারিসা, নাগরপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) তারিন মসরুর ও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনিসুর রহমান আনিস ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে যান। এ সময় দখলে থাকা ভবন গুলো দখল মুক্ত করে সিলগালা করা হয়। এ দিকে জনগণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে সিলগালাকৃত জরাজীর্ণ ভবনগুলোতে জেলা প্রশাসন এর পক্ষ থেকে জনসাধারনকে অনুপ্রবেশ না করার জন্য সর্তকীকরন নোটিশ টানিয়ে দেওয়া হয়।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) তারিন মসরুর জানান, দূর্ঘটনা এড়াতে জনস্বার্থে জরাজীর্ন ও ঝুঁকিপুর্ন ভবনে থাকা লোকদের ভবন ছেড়ে দেওয়ার একাধিক তাগিদ দেওয়া হয়। অবশেষে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সোমবার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

(আরএস/এসপি/ডিসেম্বর ০১, ২০২০)