উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : মুক্তিবাহিনী ঘোড়াশালে পাকবাহিনীর অবস্থানের ওপর চার দিক থেকে আক্রমণ করে ২৭ জন পাকহানাদারকে হত্যা করতে সক্ষম হয়। এখান থেকে মুক্তিবাহিনী বেশ কিছু গোলা-বারুদ হস্তগত করে।

আজমপুর রেলওয়ে স্টেশন মুক্তিবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে এলেও পাকবাহিনী তাদের বিপর্যস্ত অবস্থা কাটিয়ে উঠে মুক্তিবাহিনীর ওপর পাল্টা আক্রমণ করে। এই আক্রমণে মুক্তিবাহিনী পিছু সরে আসতে বাধ্য হয়। মুক্তিবাহিনী পুনরায় তাঁদের অবস্থান সুদৃঢ় করে তিন দিক থেকে শত্রুকে আক্রমণ করলে পাকবাহিনী আজমপুর রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।

চট্টগ্রামে মুক্তিবাহিনীর গেরিলারা উত্তরে ফটিকছড়ি ও রাউজান থানা এবং দক্ষিনে আনোয়ারার অধিকাংশ স্থান তাঁদের দখলে আনতে সক্ষম হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মুক্তিবাহিনী পটিয়া থানা তাঁদের দখলে আনার জন্য মরণপণ যুদ্ধে লিপ্ত আছে।

মুক্তিবাহিনী বিরিসিড়ির বিজয়পুরে পাক অবস্থানের ওপর এ্যামবুশ করে ৫ জন পাকহানাদারকে হত্যা করে। এখান হতে মুক্তিবাহিনী রাইফেলসহ ২১ জন রাজাকারকে ধরতে সক্ষম হয়।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী নয়াদিল্লীতে কংগ্রেস দলের এক কর্মীসভায় ভাষণ-দানকালে বলেন, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বাংলাদেশ ছেড়ে গেলেই লাখ লাখ বাঙালি স্বদেশে ফিরে গিয়ে শান্তিপূর্ণ জীবন-যাপন করতে পারবে।

পাক কমান্ডার মোছলেহ উদ্দিন ভালুকা থেকে একদল রাজাকার সঙ্গে নিয়ে কাঁঠালি গ্রামে লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগ করতে এলে মুক্তিবাহিনীর স্কেশন কমান্ডার গিয়াসউদ্দিন এবং তিন নং স্কেশন কমান্ডার আবদুল ওয়াহেদের নেতৃত্বে পরিচালিত অতর্কিত আক্রমণে ৩ জন পাকহানাদার এবং ৭ জন রাজাকার নিহত হয় এবং ৭ জন পাকসৈন্য আহত হয়। পরে পাকহানাদাররা মৃতদেহগুলো নিয়ে পালিয়ে যায়।

পাকিস্তান পিপলস পার্টি ও পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর পূর্ব পাকিস্তান শাখার নেতৃবৃন্দ পাকিস্তানের অখন্ডতা রক্ষার লক্ষ্যে অবিলম্বে পশ্চিম পাকিস্তানের সীমান্ত থেকে ভারত আক্রমণ করার জন্য প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার প্রতি আবেদন জানান।

তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।
(ওএস/অ/ডিসেম্বর ০২, ২০২০)